‘ভুল বিজ্ঞাপন’ বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা রামদেব ও আচার্যের, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু

নয়াদিল্লি, ২ এপ্রিল (হি.স.): পতঞ্জলি সংস্থার ‘ভুল বিজ্ঞাপন’ মামলায় নির্দেশ অমান্য করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নিন্দার মুখে পড়লেন যোগগুরু বাবা রামদেব। যোগগুরুকে তীব্র ভৎসর্না করেছে শীর্ষ আদালত। পতঞ্জলির ঔষধি পণ্যের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য যোগগুরু রামদেব সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ এপ্রিল, সেই দিন পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তথা যোগগুরু রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

গত মাসে সংস্থার ‘ভুল বিজ্ঞাপন’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছিলেন পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আচার্য বালকৃষ্ণ। তবে সেই ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আদালত খুশি নয় বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার পতঞ্জলির ‘অসত্য বিজ্ঞাপন’ মামলায় সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দেন রামদেব ও বালকৃষ্ণ। সেখানেই শীর্ষ আদালতের ভৎসর্নার মুখে পড়তে হয় রামদেবকে। যদিও আদালতের নির্দেশ অমান্য নিয়ে আদালতে ক্ষমাও চান রামদেব। যোগগুরুর আইনজীবী হাত জোড় করে আদালতকে বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমা চাইতে চাই এবং আদালত যা বলবে তা মানতে প্রস্তুত।’’

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধেও মিথ্যা সাক্ষ্যের মামলা শুরু করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, নথিগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে (হলফনামার সঙ্গে), কিন্তু নথিগুলি পরে তৈরি করা হয়েছে। এটি মিথ্যাচারের একটি পরিষ্কার বিষয়। আমরা আপনার জন্য দরজা বন্ধ করছি না, তবে আমরা যা উল্লেখ করেছি তা আমরা বলছি। সুপ্রিম কোর্ট রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন হলফনামা দাখিলের শেষ সুযোগ দিয়েছে।