মনুভ্যালি চা বাগানে আদিবাসী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব শুরু

আগরতলা,১ এপ্রিল: মনুভ্যালি চা বাগানে আদিবাসী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ করে চা বাগান শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

ত্রিপুরা চা শ্রমিক উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এ বছর হামদের পরব পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই বছর হামদের পরব অনুষ্ঠিত হয় তা মনুভ্যালী চা বাগান এলাকার সতের নম্বর মাঠে। রাজ্যের তথা কৈলাসহরের বিভিন্ন চা বাগান এলাকার আদিবাসী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর প্রাণের পরব ।প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকহাজার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ঘটে। এই বছর হামদের পরবে। কৈলাসহর সহ বিভিন্ন চা বাগান এলাকার  প্রায় সতের টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজের নাচ ও গান পরিবেশন করেন। চা বাগান এলাকার বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের যেমন উরাঙদের কুরুখ ভাষায় ঝুমুর নাচ ও গান, মুন্ডাদের মুন্ডারী ভাষায় ঝুমুর, করম গান, সাঁওতালি একক নাচ, চা বাগানের প্রচলিত ভাষা ছিলো মিলো ভাষায় লাঠি নাচ,। স্বরচিত কবিতা পাঠ ইত্যাদি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান শুরু হয় মনুভ্যালী চা বাগান এলাকার সতের নম্বর এলাকার মুন্ডা সম্প্রদায়ের করম নাচ ও গান দিয়ে। এরপর সমস্ত উপস্থিত সবাই মাঠে স্থাপিত সমস্ত আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একে একে বিভিন্ন চা বাগান এলাকার মোট 21টা টিম তাদের নাচ গান পরিবেশন করেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মূর্তিছড়া চা বাগান এলাকার মধুমিতা বাউরী।

দুপুরে উপস্থিত সমস্ত শিল্পী ও দর্শকদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা হয়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এই বছর হামদের পরবে। ছোট ছোট দোকানিরা দোকান নিয়ে আসেন। চা বাগান এলাকার বসবাসরত সকল আদিবাসী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর প্রাণের পরব হামদের পরবে সমিল হয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন সবাই । সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে এবং অংশগ্রহণ কারী 155 জন শিল্পীদের হাতে মেলামাইনের থাল পুরুস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। পুরুস্কার গুলো শিল্পীদের হাতে তুলে দেন ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত মনুভ্যালী চা বাগান এর কর্মী হামদের পরব এর শুভানুধ্যায়ী শেখর পুরকায়স্থ,।   চা শ্রমিক উন্নয়ন সমিতির সমরা মুন্ডা,সনাতন বাউরি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *