ধর্মনগর, ১৮ মার্চ :সোমবার সকালে ধর্মনগরের শহরের উত্তর প্রান্তে ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে এক ধুমধুমার কান্ড হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্যপুর ইন্দমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। বিদ্যালয়ে সেক্টর অফিসার আসবেন তাই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যারা যোগদান করবে তাদের কোন ধরনের বাধা-নিষেধ দেওয়া গান বা নাচের কিছুই দেওয়া হয়নি প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে। অভিভাবকটা জানান প্রধান শিক্ষক নাকি বলেছেন যেহেতু কোন নির্দিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নিয়েই তাই ছাত্রছাত্রীরা যে যা পারে তাই যেন পরিবেশন করে। একটা ছোট বাচ্চা মেয়ে তার পছন্দমত একটি গান পরিবেশন করতে গেলে যখন নাচ ধরে তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাধাকান্ত সিনহা এই নাচবাগানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ছোট্ট মেয়েটিকে বকাবকি শুরু করে। মেয়েটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
তাছাড়া বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী জানিয়েছে, তাদেরকে নাকি শিক্ষক রাধাকান্ত সিনহা যাচ্ছে তাই বকাবকি এবং মারধর করেন। সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আসা অভিভাবকরা পর্যন্ত শিক্ষক রাধাকান্ত সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগের স্তূপ গড়ে তুলে। এমনকি এই শিক্ষক মহাশয় নাকি যেসব অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসে তাদেরকেও উল্টাপাল্টা কথা বলায় সিদ্ধ হস্ত। এমতাবস্থায় একদিকে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক অন্যদিকে শিক্ষক মন্ডলী বিদ্যালয়ের মধ্যে বিশাল বচসার সৃষ্টি হয়। কোন পক্ষই হার মানতে নারাজ। প্রধান শিক্ষক উভয়পক্ষকে শান্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে বারে বারে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ধর্মনগর পুলিশ স্টেশন এর শরণাপন্ন হয় পুলিশ স্টেশন থেকে ধর্মনগর থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সংখ্যালঘু মহিলারা এবং শিক্ষক রাধাকান্ত সিনহার মধ্যে একটা চাপা খুব এখনো বিরাজ করছে।