হুগলি, ১৬ মার্চ (হি.স.) : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হুগলি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে টলিউডের ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার তাই মমতার আন্দোলনের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুর থেকেই প্রচার শুরু করলেন রচনা।
আর সেখানে তাঁকে সাদরে স্বাগত জানালেন এলাকাবাসী। রচনাকে ঘিরে নামল জনজোয়ার। প্রথমদিনের প্রচারেই তারকা ইমেজ ছেড়ে কার্যত ‘ঘরের মেয়ে’ হয়ে উঠলেন তিনি। এই বিধানসভা কেন্দ্রও তৃণমূলের দখলে। তাই রচনাকে নিয়ে এখানকার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
শুধু কি ‘দিদি নং ১’কে এত কাছে পাওয়ার আনন্দ? মোটেই না। যেভাবে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি এবং পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে দিয়ে প্রার্থীকে বরণ করে নিলেন স্থানীয় মহিলারা, তাতে মনে হল, হুগলিতে রচনাকে চান অনেকে। আরও উল্লেখযোগ্য, সে হিসেবে রচনাও এই কেন্দ্রে ‘বহিরাগত’। কিন্তু তা নিয়ে কোনও বিতর্ক বা কোনও ক্ষোভ এখনও দেখা যায়নি।
প্রথমদিন প্রচারে নেমে লড়াইয়ের রণকৌশল স্থির করে ফেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রতনপুর লোহাপট্টিতে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার বিধায়ক এবং নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রার্থী। বৈঠক সেরে সেখানেই কর্মিসভাও করেন। পরে সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান নিজের লড়াইয়ের কথা।
জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমি সিঙ্গুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সফর শুরু করার মধ্যে দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, লড়াইয়ের মাটিতে থাকবেন। এগোবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের পথ ধরে।অন্যদিকে, ৫ বছরের সাংসদ তিনি। অথচ নিজের গড়েই তাঁকে নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ফের বিজেপি প্রার্থী করায় দলীয় কর্মীদের একাংশ অসন্তুষ্ট।