ক্যানিং, ১৫ মার্চ (হি. স.) : এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই সমস্ত রাজনৈতিক দল ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সব কেন্দ্রে না হলেও বিজেপি অনেক কেন্দ্রেই নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। আর সেই ঘোষণার পর থেকেই ভোটের ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন দলের কর্মীরা। প্রার্থীরাও বিভিন্ন জায়গায় জন সংযোগ, প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।
শুক্রবার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে আসেন বিজেপি প্রার্থী ডাঃ অশোক কান্ডারি। দলীয় কর্মীদের সাথে পরিচয় পর্বর পাশাপাশি এলাকার মানুষের সাথে জন সংযোগ করেন। এই কেন্দ্র থেকে গতবারও প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূলের প্রতিমা মন্ডলের কাছে তিন লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। তবে এবার আর গতবারের হারের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আশাবাদী তিনি। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারেন নি। কোন আসনেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেন নি। সেই কারণে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে এবার বাড়তি নজর রাখছে বিজেপি। এদিন এই কেন্দ্রে নির্বাচনী কাজে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ গতবারের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে এবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছি আমরা। মোদীজি তথা বিজেপি আমার উপরেই আরও একবার আস্থা রেখেছেন। আশাকরি, তৃণমূলের দুর্নীতি আজ বাংলার সব মানুষ জানেন। দেশ গড়ার কাজে মোদীজির হাতকে শক্ত করতে বিজেপিকেই মানুষ ভোট দেবে। এই কেন্দ্র থেকে আমি জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত।”
অন্যদিকে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই নির্বাচনী সভা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। শনিবার প্রার্থী নিজে আসবেন এই বিধানসভার দলীয় কর্মীদের সাথে পরিচয় পর্ব সারতে। তার আগে এলাকায় এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের একাজে উৎসাহ দিতে এদিন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস দেওয়াল লিখনের কাজে হাত লাগান। সাথে ছিলেন ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম দাসও। পরেশ বলেন, “ সারা রাজ্যের মধ্যে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সবথেকে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে জিতবেন। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অন্তত পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে লিড পাবেন তিনি। রাজ্য জুড়ে মা মাটি মানুষের সরকারের উন্নয়নের নিরিখেই ভোট হবে।”

