আগরতলা, ১২ মার্চ: আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করে জনগণকে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যেই রাজ্যে উন্নত পরিকাঠামো এবং আধুনিক ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ আগরতলায় নাগেরজলা বাসস্ট্যান্ডে নবনির্মিত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিকাঠামোগত উন্নতিতে ত্রিপুরা এখন অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এই সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে নাগরিকদের যেমন উন্নত পরিষেবা দেওয়া যাবে তেমনি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে। নাগেরজলা বাসস্ট্যান্ড এক সময় ছিলো পতিত জলাশয় ও অব্যবহারযোগ্য স্থান।
বর্তমান সরকারের গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখন এরকম স্থানগুলি মানুষের কল্যাণের কাজে লাগানো হচ্ছে। নাগেরজলায় এই টার্মিনাল ভবন উদ্বোধনের ফলে দূরপাল্লার যাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকার কাজের নিরিখে মানুষের কাছে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে রাজ্য সরকার উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ও পরিষেবাগুলির সুযোগ পৌঁছে দিতে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের মতো কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষ এই সরকারের উপর আস্থাশীল। যা মানুষের প্রতিনিয়ত মতামত প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এই টার্মিনাল এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ১৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবহণ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করার জন্য রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন ডিটিও অফিস স্থাপন করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ও অতিথিগণ নতুন টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করে ভবনটি পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজ্য পরিবহণ কমিশনার উত্তম মন্ডল, ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন টিআরটিসির চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পুরনিগমের কর্পোরেটর অভিজিৎ মল্লিক, টিআরটিসির ভাইস চেয়ারম্যান সমর রায়, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
ReplyForwardAdd reaction |