নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১০ মার্চ: একদিকে নেশার বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে পুলিশের সক্রিয় পদক্ষেপ। একের পর এক নেশা জাতীয় দ্রব্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে এবং নেশা কারবারীরা এনডিপিএস মামলায় কারাগারে যাচ্ছে। তবুও নেশা কারবারীদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই পুলিশ এবং শাস্তির ভয়ে।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আবার বাগবাসা থানার পুলিশের সাফল্য আছে। ঘটনায় জানা যায় বাগবাসা থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর আসে যে আসামের দিক থেকে একটি নাম্বারহীন বলেরো গাড়ি আসছে। সেই গোপন সূত্রের উপর ভিত্তি করে বাগবাসা থানার ওসি গাড়িটিকে আটক করে। গাড়ির মধ্যে তিন জন ছিল তারা হলো আব্দুল মতা, আর বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার রানী গ্রামে, বোরহান উদ্দিন তার বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়িতে এবং জনাব আলী তার বাড়িও আসামের করিমগঞ্জ জেলার রানী গ্রামে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের সাথে মাদক নেশা জাতীয় দ্রব্য রয়েছে বলে স্বীকার করে। তাদের কাছ থেকে মোট ৫৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এই ট্যাবলেট গুলি একবার খেলে তিন দিন পর্যন্ত নেশা থাকে বলে জানান উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। এবং এই ট্যাবলেটগুলি ব্যবহার করে অসামাজিক কাজ করা হয় বলে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।
এইগুলি খোলা বাজারে পাওয়া যায় না। মায়ানমারে ট্যাবলেটগুলি আছে এবং এগুলির কালোবাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে পুলিশ সুপার জানান। তাদেরকে বাগবাসা থানায় গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।