ঢাকা, ১০ মার্চ (হি.স) : সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে একাত্তরে পাক হানাদারদের বর্বরচিত গণহত্যার বাংলাদেশের জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য সুষ্ঠু সমন্বয় দরকার। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার। আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো এটি নিয়ে কী করা যায়।’
রবিবার ১০ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ: সিকিং রিকগনিশন অ্যান্ড রিপারেশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাঙালীদের উপর পকিস্তানের এই গণহত্যার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সগ্রামে ভারতের সহায়তাকে আগ্রাসন বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটা করে সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক জায়গায় বাংলাদেশের জেনোসাইড নিয়ে কথা হচ্ছে। যেহেতু ৫২ বছর আগের ঘটনা, সেজন্য সুষ্ঠু ডকুমেন্টেশন করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসুয়াল ডকুমেন্টেশন আমাদের বেশি নেই এবং এখন ভিসুয়াল ডকুমেন্টেশন করাও সম্ভব নয়।
রুয়ান্ডা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ আরও অনেক দেশের জেনোসাইড স্বীকৃতি পেয়েছে, সেখানে ৩০ লাখ নয়, তিন-চার লাখ মানুষ মারা গেছে। আমাদের এখানে এটি স্বীকৃতি না পাওযার অন্যতম কারণ হচ্ছে যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, সেই অপশক্তিকে নিয়ে রাজনীতি করা এবং যারা স্বাধীনতা চায়নি, বরং পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বনকারী জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করা, তিনি মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি পাকিস্তানিরা যে আমাদের ২৩ বছর শোষণ করেছে সেটি নিয়েও আমাদের কথা বলা দরকার।’