উপজাতি যুব ফেডারেশন কমলপুর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে কনভেনশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ৮ মার্চ: উপজাতি যুব ফেডারেশন কমলপুর মহকুমা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে সালেমা অঞ্চলের মেন্দি ভিলেজের বিন্দা কুমার দেববর্মার বাড়িতে এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

 এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিমন্ডলীতে ছিলেন উপজাতি যুব ফেডারেশনের কমলপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি রতন হালাম ও ধনচন্দ্র দেববর্মা।

বক্তব্য রাখেন উপজাতি যুব ফেডারেশনের কমলপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক স্নেহকুমার দেববর্মা,কন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজকুমার দেববর্মা ও প্রনজিৎ দেব্বর্মা ,উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের কমলপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি বদরবোম হালাম এবং কমলপুর মহকুমার গণআন্দোলনের নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস ও রমনী মোহন দাস।

বক্তারা বলেন ১৯৬৭ সালে রাজবাড়িতে সভা করে উপজাতি জাত্যাভিমানকে উস্কে দিয়ে উপজাতি যুব সমিতি গঠন করে ত্রিপুরার লাল ঝান্ডার আন্দোলনকে দুর্বল করার লক্ষ্যে স্বাধীন ত্রিপুরার শ্লোগান তোলা হয়েছিল এবং প্রচার করা হয়েছিল আমরা লাল ও না সাদা ও না।

তখন এই সাম্প্রদায়িক সংগঠন গড়ে তোলার পরিকল্পনায় ছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের মা বিভূ কুমারী দেবী ।তখন রাজ্যের মুকুটহীন রাজা দশরথ দেববর্মা বলেছিলেন উপজাতি যুব সমিতি হচ্ছে কংগ্রেস দলের শিকারী মোরগ। সাম্প্রদায়িক আবেগের স্লোগান তুলে সেই সময় কমিউনিস্ট পার্টির লোকজনদের যুব  সমিতির পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। জননেতা দশরথ দেববর্মার এই কথা জলের মত পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল ১৯৮৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও যুব সমিতির আঁতাতের মধ্য দিয়ে। এদিন এমন ভাবেই রাজনীতির ইতিহাস তুলে ধরেছেন নেতৃত্বরা।

তারা আরো বলেন, ১৯৭৯ সালে যুব  সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক বিজয় রাঙ্খলকে সর্বাধিনায়ক করে  টি এন ভি গঠন করে শুরু করা হয় ভয়ঙ্কর ভাতৃঘাতী দাঙ্গা। এই যুব সমিতি ভেঙ্গে হয় আইপিএফটি।

এই আইপিএফটির নেতৃত্বরাই তিপ্রাল্যান্ড থেকে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের শ্লোগান দিয়ে সহজ-সরল উপজাতি অংশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সেই  বিভূকুমারী দেবীর ছেলের নেতৃত্বে তিপ্রা মথা দল গঠন করে স্বৈরাচারী,দুর্নীতিগ্রস্ত ও প্রতারক বিজেপি দলকে এতদিন গোপনে গোপনে সাহায্য করে আসছিল।

তাদের অভিনয়ের রহস্য প্রকাশ্যে আসলে গত ৭ই মার্চ বিজেপি আই পি এফ টি জোট সরকারে সামিল হয়ে উপজাতি জনগণের আবেগকে ধোঁকা দিয়ে সর্বনাশ করে  এই দালাল সংগঠনটি। এমনভাবেই তীব্র ভাষায় তিপ্রা মথাকে আক্রমণ করেছেন বাম নেতৃত্বরা। তাই এই ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরাকে রক্ষা করতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে ১৪ ই মার্চ বাম যুব সমাবেশকে সফল করে তুলার আহ্বান জানান তারা।