কলকাতা, ৮ মার্চ, (হি.স.): শুক্রবার সকালে আবার সন্দেশখালিতে আসে সিবিআই। বৃহস্পতিবারও তারা সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়ি এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখে। তবে শুক্রবার সিবিআইয়ের দলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান-সহ রয়েছেন অন্তত ৫০ জন। বড় দল নিয়ে সন্দেশখালিতে আসে তারা। শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তকারীরা ঢোকেন। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চারপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।
সিবিআইয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রয়েছে ফরেন্সিক দল। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফরেন্সিকের সদস্যেরা শাহজাহানের বাড়ির আশপাশ, যাওয়া-আসার এলাকার স্কেচ করে নেন। ক্যামেরাবন্দি করা হয় বিভিন্ন মুহূর্ত। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দুই ইডি আধিকারিকও। ইডির সঙ্গে কথা বলেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
জানা গেছে, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকেরাই সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা হাত নেড়ে কোন দিন থেকে কীভাবে আক্রমণ হয়েছিল, তা সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক আধিকারিকদের বোঝান। তার স্কেচ এবং ভিডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে। এ ছাড়া, শাহজাহানের বাড়ির সামনে আকুঞ্জীপাড়া মোড় এলাকায় রাস্তার মাপজোক করতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের। এর পর সিবিআই যায় সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান মার্কেটে। সেখানে শাহজাহানের একটি অফিস ছিল। আগের দিনও সেখানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রবার তাদের দল পৌঁছে যায় শাহজাহানের ডেরায়।
শাহজাহানের বাড়িতে এর আগে দু’বার গিয়েছিল ইডি। প্রথমবার তারা ঢুকতেই পারেনি। বাইরে থেকে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেয়ে ফিরতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। দ্বিতীয় বার শাহজাহানের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে ইডি। ফাঁকা বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর বাড়িটি সিল করে দিয়ে যায় ইডি। শুক্রবার সেই সিল খোলা হল।

