আগরতলা, ৫ মার্চ : গত ২ মার্চ, ২০২৪ নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার ও তিপ্রা-র মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তিতে তিপ্রা-র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা, বিজয় কুমার রাঙ্খল এবং অনিমেষ দেববর্মা। রাজ্য সরকারের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজ্যের মুখাসচিব জে কে সিনহা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (উত্তর পূর্বাঞ্চল) পীযূষ গোয়েল। আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার এবং তিপ্রা-র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ে একথা বলেন।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার বিগত দশক ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে হিংসামুক্ত-উগ্রবাদমুক্ত-বিবাদমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে ক্রমাগত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়কালে কমপক্ষে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার বিপথগামী যুবক হিংসার পথ পরিত্যাগ করে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা ছিল। ত্রিপুরাকে এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তুলতে এই চুক্তি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সর্বপ্রথমে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য আমি দেশের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি তিপ্রার নেতৃবৃন্দদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন এবং রাজ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে কোন ধরণের আন্দোলন/বিক্ষোভ করা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি এই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ ও উন্নততর ত্রিপুরার দিকে আরও এক কদম অগ্রসর হয়েছি।