আগরতলা, ৪ মার্চ: স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিল পলিরাণী বণিক নামে এক গৃহবধূ। ওই ঘটনার ৩ দিন পর অভিযুক্ত স্বামী পুলিশের জালে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত স্বামীর কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ পলি রানী বনিক আত্মহত্যা করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল যাত্রাপুর থানাধীন উত্তর মহেশপুরে। গত ৪ বছর পূর্বে উত্তর মহেশপুরের স্কুল টিলা এলাকার খগেন বনিকের মেয়ের সাথে ধনপুরের বড়নারায়ণ এলাকায় অঞ্জন দাসের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ। গত ২৯ শে জানুয়ারি পলিকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে এনে চিকিৎসা করানোর পর থেকে গত প্রায় এক মাস সময় ধরে বাপের বাড়িতে থাকতো সে। যদিও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি, মাথাতে অসহ্য যন্ত্রণা ছিলো।
অর্থের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারেনি, তার উপর বিভিন্ন সময়ে স্বামী ফোন করে হুমকি ধমকি দিতো বলে অভিযোগ। এতে মানসিক অবসাদে ভুগছিলো পলি। এই কারনে পলিরানী বৃহস্পতিবার বিকেলে বাপের বাড়িতে ঘরের পেছনে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। মৃতার তিন বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে।
পরবর্তী সময়ে মৃতার বাবা স্বামীর বিরুদ্ধে যাত্রাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে