প্রচুর সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ পেছনেই রয়ে গিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

কৃষ্ণনগর, ২ মার্চ (হি.স.): স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গ যতটা পিছিয়েছে, ১০ বছরে সেই ক্ষতির ব্যবধান পূরণ করেছে কেন্দ্র। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বিদ্যুৎ ছাড়া কোনও জায়গাই উন্নতি করতে পারে না। বাংলা যাতে এই পরিসরে আত্মনির্ভর হয়, সে জন্যই একটা বড় পদক্ষেপ করা হল। শনিবার নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আরামবাগে সাত হাজার কোটি টাকার বিকাশ যোজনার প্রকল্পের শিলান্যাস এবং সূচনা করেছি, আজও ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস এবং সূচনা করছি। এর ফলে রোজগারের নতুন পথ খুলবে। বাংলার যুবক-যুবতীদের সহায়তা করবে।’’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ আমাদের দেশের কয়েকটি রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ আমাদের দেশের পূর্ব প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে। অগ্রগতির অপার সম্ভাবনা পূর্বের এই দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। তাই আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথ, মোটরওয়ের আধুনীকিরণের কাজ করছে। আজ ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত জাতীয় সড়কের উদ্বোধন হল। ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চার ঘণ্টা থেকে এখন অর্ধেক সময়ে দু’টি জায়গার মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।’’

মোদীর কথায়, ‘‘রেল পশ্চিমবঙ্গের গৌরবের একটি অধ্যায়। কিন্তু ইতিহাসে বাংলা যা অর্জন করেছিল, স্বাধীনতার পর বাংলা আর সে রকম এগোয়নি। অনেক সম্ভাবনা থাকলেও বাংলা পিছিয়ে পড়তে থাকে। গত ১০ বছরে আমরা ওই ব্যবধানকে মেটানোর জন্য রেলের আধুনিকীকরণে বেশি করে জোর দিয়েছি। এখন বাংলায় রেলের জন্য আগের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “বিদ্যুৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা অর্থনীতির প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নকে চালিত করে। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের শক্তির প্রয়োজনে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভিত্তিপ্রস্তর সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *