কলকাতা, ১ মার্চ, (হি.স.): এসএসসি-র নিয়োগকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক কাকা-ভাইঝির বলে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। কিন্তু শুক্রবার ইডির তরফে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হলো, ওই দু’জনের সম্পর্কের জটিল রসায়ন এখনও তদন্তকারীদের কাছে অধরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন পার্থবাবু। জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সেই সন্তানের দেখভাল করবেন তিনিই।
এদিন ইডির কৌঁসুলি ফিরোজ এডুলজির সওয়াল, অর্পিতা-সহ একাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেজন্য অর্পিতার ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু থেকে ‘কাকু’তে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ীই অর্পিতা কাজ করতেন। গোয়া ও থাইল্যান্ডে অর্পিতার সঙ্গে জনৈক স্নেহময় দত্তকে পাঠিয়েছিলেন পার্থবাবু।
এডুলজির বক্তব্য, ‘এই দু’জনের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল জানি না। কিন্তু স্নেহময় দত্তর বক্তব্য পুরোটাই আদালতের সামনে রাখা হলো। এখান থেকেই তাঁদের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল, সেটা স্পষ্ট হবে।’ কটাক্ষের সুরে এই আইনজীবীর সওয়াল, ‘স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে এটা হয়তো প্রথম ঘটনা, যেখানে ৫৪ কোটি টাকার জন্য দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। দু’জনেই বলছেন, এ টাকা আমার নয়, অন্যজনের।’