কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : রাজ্য বাজেটকেই ‘দিশাহীন’, ‘লোকসভা ভোটের প্রচার’ বলে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেটের একাধিক ত্রুটির উল্লেখ করলেন তিনি। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বিশেষ কোনও ঘোষণা নেই বলে তোপ দাগলেন তিনি। জানালেন, শনিবার বাজেটের বিরোধিতায় নিজেদের মতামত পেশ করতে চান বিজেপি বিধায়করা।
এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার সময় বিজেপি বিধায়করা উঠে তাতে বাধা দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন। এর পর অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পড়তে শুরু করা মাত্রই তাঁরা হই হট্টগোল শুরু করে দেন। নানাভাবে বাধা দিতে থাকেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও থামেননি বিরোধী বিধায়করা।
এরপর মেজাজ হারাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “বিজেপি অ্যান্টি বাঙালি। এরা বাংলার ভালো চায় না।” এসবের পর নির্বিঘ্নে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। তা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভায় নির্দিষ্ট কক্ষে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। আপত্তি তোলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে।
তাঁর অভিযোগ, সাধারণ শ্রেণির মহিলা এবং জনজাতিদের জন্য এই প্রকল্পের অর্থ নিয়ে যা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বাজেটে তা বাস্তবায়িত হয়নি। সাধারণ মহিলারা যা পাবেন, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সেই অঙ্ক দ্বিগুণ হওয়ার কথা। কিন্তু বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ১০০০ টাকা পাবেন সাধারণ শ্রেণির মহিলারা। আর তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য তা ১২০০ টাকা। অর্থাৎ উভয়ের ফারাক মাত্র ২০০ টাকা। আর এতেই আপত্তি তুলেছেন শুভেন্দুবাবু।
তাঁর আরও দাবি, ভোটের আগে ভয় পেয়েই এই বাজেট পেশ। বাজেটের অনেকটাই ভোটে হেরে যাওয়ার আতঙ্কের প্রতিফলন, ভীত-আতঙ্কিত হয়ে এই বাজেট পেশ রাজ্যের। আয়ের দিশা নেই। রাজস্বের কী পরিস্থিতি, তা উল্লেখ করা হয়নি।