পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মেদিনীপুর শহরের এক বাসিন্দা। বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার হল শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্মীয়মাণ একটি ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। বুধবার দুপুরে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রেমিকাকে পাঠানো চিঠিতে মৃত্যুর কথা লিখে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই যুবক। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘‘আমি তোমাকেই ভালোবাসি। তোমাকে নিয়েই বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেটা মনে হয় এ জীবনে তা আর সম্পূর্ণ হল না।’’ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
ওই যুবক ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন । বুধবার সকালে তাঁর মোটর বাইক এবং জুতো উদ্ধার হয়। পরে নির্মীয়মাণ ওই ফ্ল্যাটের সামনের রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেখানে ঢুকে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা।
যে নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের পাশ থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার নিরাপত্তারক্ষীর কথায়, ‘‘যিনি মারা গিয়েছেন তাঁকে চিনি না। ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে ছবি তুলতে তুলতে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন উনি। তার পরে আর জানি না। মনে হয়েছিল যে উনি নেমে গিয়েছেন। কিন্তু আজ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।’’
যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে পর প্রকাশ্যে এসেছে চিঠির ছবিও। মৃতের পরিবারের দাবি, ওই চিঠিতেই আত্মঘাতী হওয়ার কথা লিখে গিয়েছেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ডের এক যুবতীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল মৃতের। যদিও মৃতের এক আত্মীয়ের অভিযোগ, প্রেমিকাই খুন করেছেন ওই যুবককে। তাঁর দাবি, সম্পত্তি হাতানোর উদ্দেশেই এই খুন করা হয়েছে।
সম্প্রতি, ওই যুবকের প্রেমিকা অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান বলেও মৃতের পরিবারের দাবি। ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন না খুন হয়েছেন, তা খুঁজে বার করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।