বীরভূম, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি কর্মী-অফিসারদের প্রতি
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর আপ্তবাক্য ছিল ‘ডু ইট নাউ’। পরে, কাজ ফেলে রাখা চলবে না বলে বার বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি দফতরে পরিষেবা চাইতে গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি শুনতে হল আবেদনকারীকে!
ঘটনাটি বীরভূমের রাজনগর ব্লকের ভূমি আধিকারিকের দফতরে। রেকর্ড সংশোধনের দাবি জানালে বিএলআরও তাঁর সরকারি চেয়ারে বসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত আবেদনকারীর ছেলে উজ্জ্বল অধিকারী। ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার জেলা ভূমি দফতরে ডাকা হয় রাজনগরের ব্লক ভূমি আধিকারিক বিদ্যুৎকুমার নন্দীকে।
বীরভূমের রাজনগর ব্লকের মুক্তিপুর গ্রামের সরস্বতী অধিকারীর একটি জমির রেকর্ড সংশোধনের কাজকে ঘিরে বিতর্ক শুরু। সরস্বতীদেবীর ছেলে উজ্জ্বল অধিকারী তার মায়ের জমির রেকর্ড করানোর জন্য বেশ কয়েকবার ভূমি দফতরে যোগাযোগ করেন। সেখানে সামান্য একটি কাজের জন্য তাঁকে ও তাঁর মাকে নিয়মিত হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই কথা জানিয়ে ও সমাধানের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে জেলা, মহকুমা ভূমি আধিকারিকের দফতরে চিঠি লেখেন।
মহকুমা ভূমি আধিকারিক দফতর সূত্রে জানা যায়, সরস্বতীদেবীর বিষয়টি পুর্নবিবেচনার জন্য রাজনগর ব্লককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উজ্জ্বল অধিকারীর দাবি সেই মতো তিনি মঙ্গলবার দুপুরে রাজনগরে ব্লক ভূমি আধিকারিকের দফতরে যান। কাজের কথা বলতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিএলআরও বিদ্যুৎকুমার নন্দী। তিনি জানান, কাজের জন্য চাপ দিলে অফিসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। যার জন্য দায়ী থাকবেন উজ্জ্বল অধিকারী।
এই কথা শুনে উজ্জ্বলবাবু দফতর থেকে বেড়িয়ে চলে যান। তিনি বলেন, “ওই কথা শোনার পর থেকে খুব ভয়ে ভয়ে আছি।” খবরটি পৌঁছয় জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের কাছে। তিনি জানান, তার জেলা পরিষদের দরজা সবসময় খোলা। অভিযোগ পেয়েই তিনি জেলা ভূমি দফতরকে নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিদ্যুৎবাবুকে বিষয়টি নিয়ে সিউড়িতে তলব করা হয়েছে।

