নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ৫ ফেব্রুয়ারি: জন্মদায়িনী মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাবা, দিদার হাত ধরে বিলোনিয়া থানায় পৌঁছালো ছয় বছরের শিশু সন্তান সুপ্রীয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন ছয় বছরের পুত্র সন্তান সুপ্রীয়, সুপ্রীয়ের বাবা ও দিদা। নিখোঁজ মহিলার নাম ধনী দেবনাথ ওরফে চুমকি। অবশেষে জানা গেল ওই মহিলার তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। ৬ বছরের ছেলে তার মায়ের আঁচল ধরে করুণ মুখে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। তবে ধনী দেবনাথ ওরফে চুমকি বাড়ি ফিরে যেতে নারাজ।
জানা গেছে, বিয়ের পরেই বিবাহিত ধনী ওরফে চুমকির সাথে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বিলোনিয়া থানাধীন চেলা গাঙের প্রণব রায় নামে এক গাড়ি চালকের সাথে। যোগাযোগ হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
অবশেষে গত ২৯ শে আগষ্ট আধার কার্ড ঠিক করার অজুহাত দেখিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে যায় নি চুমকি। যা ঘুনাক্ষরে টের পায়নি স্বামী সুমন দেবনাথ। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার পরে স্বামী সুমন দেবনাথ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারে অন্য নাগরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে স্ত্রী । তখনো বিশ্বাস হয় নি তার, পরে ঘরের জিনিসপত্র খোঁজা খুঁজি করার পর টাকা পয়সা, স্বর্নের জিনিস না পেয়ে বিশ্বাস হয়।
এরপর স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় গত ৩০ আগষ্ট বিলোনিয়া মহিলা থানাতে নিখোঁজ ডাইরি করে। মহিলা থানার হেলদোল না দেখে বিলোনিয়া আদালতের দ্ধারস্থ হয় ধনীর স্বামী সুমন।
আদালতের দাবড়ানি খেয়ে অবশেষে চেলাগাং থেকে ধনী ও তার প্রেমিক প্রনবকে বিলোনীয়া থানাতে নিয়ে আসে গত রবিবার। সেই খবর পেয়ে জন্মদায়িনী মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাবা, দিদার হাত ধরে বিলোনিয়া থানাতে যায় ছয় বছরের শিশু সন্তান সুপ্রীয়।
কিন্তু থানাতে এলেও মা ছাড়াই পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হল ছয় বছরের পুত্র সন্তানের। স্বামী সুমন দেবনাথ নিজের স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়ছে। একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন করছে । কিন্তু ধনী দেবনাথ ওরফে চুমকি বাড়ি ফিরতে নারাজ। ৬ বছরের ছেলের চোখের জলেও মন গলেনি জন্মদায়নী মায়ের।