সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বহু কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী : শাহ

তেজপুর (অসম), ২০ জানুয়ারি (হি.স.) : সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বহু কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ শনিবার অসমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বিতীয় দিনের সফর চলছে। দু-দিনের সরকারি সফরে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

পূৰ্ব নিৰ্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সকাল দশটায় মধ্য অসমের তেজপুরে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর ৬০-তম স্থাপনা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে এ কথা বলেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত নয় বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদী সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ, এসএসবি, সিআরপিএফ সহ অন্যান্য সংস্থার কল্যাণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। আজ ভারত সরকার একটি পোস্টাল স্ট্যাম্পও প্রকাশ করেছে। এটা দেশের মানুষের সামনে সকলের কর্তব্যের নিষ্ঠাকে চিরকাল জীবন্ত রাখবে।

ততাদীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতিচারণ করে অমিত শাহ বলেন, অটলজির আমলে ‘এক সীমান্ত এক বাহিনী’ বাস্তবায়িত হয়েছিল। বলেন, ভারত-চিন যুদ্ধের পর ১৯৬৩ সালে এসএসবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অটলজির ‘ওয়ান বৰ্ডার ওয়ান ফোর্স’ নীতি কার্যকর হওযার পর ২০০১ সাল থেকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এবং ২০০৪ সাল থেকে ভারত-ভুটান সীমান্ত রক্ষা করছে এসএসবি।

বলেন, আজ সশস্ত্র সীমা বল-এর ৬০-তম স্থাপনা দিবস। গত ছয় দশকে এসএসবি-র পুরুষ ও মহিলা জওয়ানরা ভারতের সীমান্তের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তাদের সতর্কতায় চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ সহ অবৈধ আন্তর্জাতিক সীমান্ত কার্যকলাপ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাঁদের জন্যই দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রয়েছে।

অমিত শাহ বলেন, এসএসবি-র প্রতিশ্রুতি নিছক সীমান্ত টহল ছাড়িয়ে অন্যত্র প্রসারিত। তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের সঙ্গে অহর্নিশ সদিচ্ছা ও নানাভাবে সহযোগিতার কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সামাজিক কল্যাণমূলক উদ্যোগে তাঁদের প্রচেষ্টা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে, যা কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আজ কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক এনসিসি, এসএসবি, সিআরপিএফ প্রভৃতি আধাসেনা বাহিনীর জন্য কল্যাণমূলক কয়েকটি প্রকল্পেরও ঘোষণা করেছেন।

এর আগে তিনি এসএসবি ছাউনিতে বিদ্যমান শহিদস্মারকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন। এসএসবি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে শোণিতপুর জেলায় অনুষ্ঠিত সারা বাথৌ মহাসভার ত্ৰয়োদশ ত্ৰিবাৰ্ষিক অধিবেশনেও অংশগ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, গতকাল বিকালে শিলং থেকে অমিত শাহ সোজা চলে আসেন তেজপুর। এখানে মহাভৈরব মন্দিরে ঝাড়ু ও জল দিয়ে মন্দির চত্বর সাফাই করেছেন অমিত শাহ। সাফাই অভিযানের পর তিনি মন্দিরে মহাভৈরবের পুজোও দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, পরিষদীয় মন্ত্রী অশোক সিংঘল প্রমুখ।