কলকাতা, ২০ জানুয়ারি (হি.স.): অধীর চৌধুরী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষু্ব্ধ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের কয়েক জন নেতা চান এ রাজ্যে জোট নিয়ে বামেদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা উচিত।
শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘‘শুনলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অধীর চৌধুরী কোনও ফ্যাক্টর নন। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, উনি (মমতা) গিয়ে বহরমপুরে ভোটে দাঁড়ান!’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘বাংলার মাটিতে আমাদের লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধেই। আর উনি যে বিজেপিকে পরোক্ষে সাহায্য করতে চান, তা আমরা আগেও বলেছি।’’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মমতার কংগ্রেস এবং অধীরবাবু সম্পর্কে বক্তব্য হাইকমান্ডকে জানাচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। সম্প্রতি এআইসিসি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক জিএ মির প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। তাঁর সামনেই পশ্চিমবঙ্গের নেতারা বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে তা হবে কংগ্রেসের জন্য ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার পরেও হাইকমান্ড থেকে কোনও স্পষ্ট বার্তা আসেনি।
এই প্রেক্ষাপটে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে মমতা শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠারেঠোরে একলা চলার বার্তা দিয়েই দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ৪২টি আসনেই তৃণমূল প্রার্থী দেবে। সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, মমতা আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে আগে থেকে খানিকটা বাড়তি ‘চাপ’ তৈরি করতে চাইছেন কংগ্রেসের উপর। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হলে যাতে কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়তে না হয়, সেই আবহই তৈরি করতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী। তবে এ-ও ঠিক যে, ২০১১ সালের পর থেকে মমতা একলা চলেই যাবতীয় সাফল্য পয়েছেন।
দলের বৈঠকে কংগ্রেস সম্পর্কে মমতার চড়া সুর কি বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ করার রাস্তা খুলে দিল? হাইকমান্ডকে বোঝানোর ক্ষেত্রেও একটা পোক্ত উদাহরণ পাওয়া গেল? সৌম্যর জবাব, ‘‘আমরা বামেদের সঙ্গে জোট ভাঙিনি। প্রকাশ্যে, ঘোষণা করে জোট করেছি। দিনের আলোয় জোট করেছি। তবে আগামী দিনের রাজনীতিতে কী হবে তা ভবিষ্যৎই বলবে।’’