লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর মুখে ইসিআই সারা দেশে ইভিএম-এর উপর সচেতনতা কর্মসূচির জন্য ৩৫০০-রও বেশি প্রদর্শন কেন্দ্র এবং প্রায় ৪২৫০-টি মোবাইল ভ্যান চালু করেছে

নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি ৷৷ লোকসভা  নির্বাচন ২০২৪-এর আগে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্র (ইভিএম) এবং ভোটদাতা যাচাই পত্র নিরীক্ষণ ব্যবস্থা (ভিভিপিএটি/ভিভিপ্যাট) সম্পর্কে ভোটদাতারা এই সব যন্ত্রের ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্বন্ধে যাতে প্রাথমিক ও আগাম ধারণা নিয়ে নিতে পারে সেই জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন দেশ জুড়ে  সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করেছে। লোকসভার জন্য প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন এবং রাজ্যগুলির জন্য বিধানসভা নির্বচনের আগে এই  ধরণের সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর লক্ষ্য হল ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সম্পর্কে বিশেষ করে নতুন ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। কর্মসুচি চলাকালে কীভাবে ভোট দিতে হবে ধাপে ধাপে তা শেখানো হয় ভিভিপ্যাট স্লিপের মাধ্যমে৷ ভোটদাতা তার সংশ্লিষ্ট পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করতে পারল কি না সেই বিষয়টি সম্পর্কে ভোটদাতা কীভাবে সুনিশ্চিত হবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট-এর যান্ত্রিক প্রয়োগ প্রক্রিয়া একেবারে হাতে কলমে প্রদর্শন করা হয় যাতে ভোটদাতারা বিষয়টি গভীরভাবে বুঝতে পারে এবং এই প্রায়োগিক পদ্ধতির সাহায্যে তাদের মধ্যে যদি কোনো রকম ভ্রান্ত ধারণা থেকে থাকে তা দূর করা সম্ভব হয়। এর ফল স্বরূপ ভোটদাতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা যায় এবং একজন ভোটদাতাকে সচেতন ও অংশগ্রহণেচ্ছু সক্রিয় ভোটদাতায় উন্নীত করা হয়।

সারা দেশে বিস্তারিত ৩১-টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (এর মধ্যে অবশ্য ৫-টি রাজ্য বাদ রয়েছে, কেননা এইগুলিতে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে) ৬১৩-টি জেলায় ৩৪৬৪-টি বিধানসভা কেন্দ্রে এই সচেতনতা সৃষ্টিকারী কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। ইসিআই সারা দেশে ইভিএম-এর উপর সচেতনতা কর্মসূচির জন্য ৩৫০০-রও বেশি প্রদর্শন কেন্দ্র এবং প্রায় ৪২৫০-টি মোবাইল ভ্যান নিযুক্ত করেছে।  এই সব মোবাইল ভ্যান এবং প্রদর্শন কেন্দ্রগুলিতে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সমূহের ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক দিকগুলি সম্পর্কে ভোটদাতাদের অবহিত করানো হয়। নির্বাচনী দপ্তর সমূহের সিইও এবং ডিইও-রা সচেতনতা কর্মসূচির কাজ কতদূর এগিয়েছে অথবা কাজটি সামগ্রিকভাবে কী অবস্থায় রয়েছে তার হালহকিকৎ তথ্য ও পরিসংখ্যান সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে সময় থেকে সময়ান্তরে তুলে ধরছেন।

ইসিআই-এর স্থায়ী নির্দেশাবলী অনুযায়ী রাজ্য সমূহের মুখ্য নির্বচনী আধিকারিক অর্থাৎ সিইও-দের নির্বাচন ঘোষণার অন্তত তিন মাস আগে থেকে এই ধরণের সচেতনতামূলক কর্মসূচির সূচনা করতে হয়। এই জন্য সিইও-রা বিগত নির্বাচনের তারিখ যে সময়ে অথবা যে তারিখে ঘোষিত হয়েছিল তা বিবেচনায় রাখতে পারেন। এই সচেতনতা কর্মসূচির একটি নির্ঘন্ট সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্র অথবা একেকটি কেন্দ্রের ভাগখন্ড ভিত্তিক ডিইও প্রস্তুত করতে পারেন এবং তিনি সেই নির্ঘন্টটি জাতীয় এবং রাজ্য পর্যায়ে স্বীকৃত রাজনৈতিক দল সমূহ এবং স্থানীয় প্রচার মাধ্যমের সংগে ভাগ করে নিতে পারেন।