অপরাধ মোকাবিলায় এফআরএস দেশের মধ্যে প্রথম চালু বারাণসীতে, পথ দেখাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় কেন্দ্র

।। সন্দীপ বিশ্বাস।।

বারাণসী সফররত, ১১ জানুয়ারি।। অপরাধ মোকাবিলায় চেহারা শনাক্তকরণ পদ্ধতি বা ফেইস রিকগনিশন সিস্টেম(এফআরএস) দেশের মধ্যে বারাণসীতে প্রথম চালু হয়েছে। ওই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অপরাধ শূন্যের কোটায় পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসী স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীনে ওই পদ্ধতি চালু করে দেশের মধ্যে ব্যতিক্রমি ভূমিকা নিয়েছে।

মূলত, যেকোনো নিখোঁজ ব্যাক্তি কিংবা অপরাধীকে বারাণসীতে খুঁজে বের করতে ফেইস রিকগনিশন সিস্টেমের(এফআরএস) জুড়ি মেলা ভার। এই আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ে অনেকেই শুনেছেন হয়তো। কিন্তু তার বাস্তব প্রতিফলন এখন শুধুই দেখা যাচ্ছে বারাণসীতে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বহু নিখোঁজ ব্যাক্তি এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সফল হয়েছে। 

বারাণসী স্মার্ট সিটি কন্ট্রোল রুমের আইটি ম্যানেজার রাহুল তিওয়ারি ত্রিপুরা থেকে সফররত সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানুষের মুখমন্ডলের ৬৮টি চিহ্ন শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে মাক্স পরিহিত ব্যক্তিও এই প্রযুক্তিকে  ফাঁকি দিতে পারেন না।  তাঁর দাবি, কোভিডের সময় মাস্ক পরিহিত অবস্থায়ও বহু  অপরাধীদের পুলিশ জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে। 

তাঁর কথায়, কোন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও পাওয়া গেলেই ওই ব্যক্তির অবস্থান খুব  অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করতে সক্ষম এফআরএস। তিনি বলেন, বারাণসীতে বসানো ক্যামেরার নজরদারীর আওতাধীন  এলাকায় ওই ব্যক্তি থাকলেই এফআরএস  তাঁকে শনাক্ত করে সহজেই অবস্থান বলে দেবে। ৯০ দিনের মধ্যে  সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওই এলাকায় যাতায়াত  করলে তাঁর গতিবিধি  শনাক্ত করে দিতে পারে এই প্রযুক্তি। 

তাঁর দাবি, বারাণসীতে স্মার্ট সিটির অন্তর্গত নিরাপত্তা এবং উন্নতকরণে প্রথম ৪৫৭টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা, জন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত সহ শহরের উন্নতকরনে কাজ করে চলেছে এই ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল রুম। 

তাঁর বক্তব্য, বারাণসীতে ত্রিনেত্র ভবনে একই ছাদের তলায় দিবারাত্রি চলছে কাশী ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল এন্ড কমান্ড সেন্টার, বারানসী স্মার্ট সিটি এবং ফেইস রিকোগনেশন সিস্টেম। সারা শহরে স্মার্ট সিটিতে ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ হয় এই ত্রিনেত্র ভবন থেকেই। তাছাড়াও সারা শহরের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ হয় এখান থেকেই। 

তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে এই কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিয়ে রোগীদের কাছে পৌঁছানো হয়েছিল ঔষধপত্র এবং প্রয়োজনীয় অক্সিজেন। তাতে স্পষ্ট, নতুন সব উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলির প্রয়োগের ক্ষেত্রে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসী। দেশের সবকটি রাজ্য তাই তাকিয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন এই শহরের দিকেই।