কলকাতা, ৯ জানুয়ারি (হি.স.): সন্দেশখালি সরগরম। শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনও হাসপাতালে জখম ইডি আধিকারিকরা। এহেন নাটকীয় পটভূমিতে জল্পনা উসকে সোমবার মাঝরাতে কলকাতা পৌঁছোন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ডিরেক্টর রাহুল নবীন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতার ইডি দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন নবীনবাবু।সন্দেশখালি এবং বনগাঁতে ঠিক কী হয়েছিল? রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়ে কী ভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি আধিকারিকের? সেই বিষয়ে বিশদ জানিয়ে মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ডিরেক্টর রাহুল নবীনের হাতে একটি রিপোর্ট তুলে দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনটাই জানা গিয়েছে ইডির একটি সূত্রে।
ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কী ভাবে বাধার মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের, তা ওই রিপোর্টে বিশদে লেখা।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার ইডির পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নবীন। একই সঙ্গে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক-সহ ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্য ইডি আধিকারিকদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন ইডি ডিরেক্টর। এর পরেই তাঁর হাতে ওই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইডির পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজের সম্ভাব্য নানা পথ নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানা যাচ্ছে। ডিরেক্টর ছাড়াও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগরওয়াল, অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর বিনোদ শর্মা এবং ছিলেন রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবারের এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
মূলত স্থানীয় ইডি অফিসারদের মনোবল বাড়াতে কলকাতায় এসেছেন ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সন্দেশখালির ঘটনায় যেভাবে ইডি অফিসাররা মারধর খেয়েছেন, তাতে এজেন্সির মধ্যেই উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে। বড় কথা হল, তাঁরা আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে গেলেও তা কার্যকরী হয়নি। এমনকি ইডি কর্তাদের অভিযোগ, বনগাঁর বাড়ি থেকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের সাত ঘণ্টা আগে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপরিনটেন্ডেন্টের মোবাইলে ফোন করে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তাও পাওয়া যায়নি।