কলকাতা, ৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ‘‘বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে তৈরি কেন্দ্র। হিসাব দিলেই টাকা পাওয়া যাবে।’’ কলকাতায় এসে এই দাবি করলেন,কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এসে বুধবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান । বিমানবন্দর আর কালীঘাট দু’জায়গাতেই দিল্লির ঘটনা টেনে আনেন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে গত বছরের ৩ অক্টোবর প্রতিনিধি দল নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেখা করেননি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালান অভিষেক।
এর মাস আড়াই পরে ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও ছিলেন অভিষেক। নতুন বছরের তৃতীয় দিনে কলকাতায় গত বছরের সেই দু’দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন নিরঞ্জন। অভিষেকের দিল্লি অভিযান কিংবা মমতার মোদীর সঙ্গে বৈঠকের মূল বিষয়ই ছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ বাংলার প্রাপ্য টাকা আকটে থাকা নিয়ে। অভিযোগ, যার বেশিটাই আটকে রেখেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।
মোদী-মমতা বৈঠকে ঠিক হয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে আধিকারিকেরা মিলে বিষয়টা মিটিয়ে নেবেন। এই প্রসঙ্গে নিরঞ্জন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে কেন্দ্রের তরফে দু’জন আধিকারিককে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের তরফেও দু’জন আধিকারিক ঠিক হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কেন যেখানে যেখানে গোলমাল হয়েছে তা ঠিক করে মমতাদিদি এই সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তা জানা নেই।’’
এখানেই না থেমে নিরঞ্জন বলেন, ‘‘হয় তো দিদি ফেঁসে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামবদল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নিরঞ্জন। গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজও বলছি ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আমরা টাকা দিতে তৈরি। কিন্তু জানি না কেন মমতাদিদি করতে চাইছেন না। লোকসান তো বাংলার মানুষের হচ্ছে, এখানকার শ্রমিকদের হচ্ছে।’’

