দুর্গাপুর, ২১ ডিসেম্বর (হি. স.) ফের ধর্ষণের অভিযোগ। এবার এক নাবালিকাকে খেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল ষ্টেশন সংলগ্ন একটি শিশু উদ্যানে। ২৪ ঘন্টা পরও অধরা অভিযুক্তরা। প্রতিবাদে সরব বিজেপির মহিলা মোর্চার। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনায় জানা গেছে, নিগৃহিতা ওই নাবালিকা অন্ডাল ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, বুধবার বিকালে স্থানীয় একটি শিশু উদ্যানে খেলার সময় ফিরোজ ও আরমান নামে দুই যুবক ফুসলিয়ে বাইক নিয়ে যায়। অন্ডালের ব্রিজের কাছে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায় আক্রান্ত মেয়েটি। তারপরই মেয়ের চিকিৎসা করায় পরিবারের লোকজন। ওই দুই যুবকের নামে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আক্রান্ত মেয়টির পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।” এদিকে ২৪ ঘন্টা পরও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। এদিন দুপুরে অন্ডাল থানার সামনে ১৯ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক।
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,” ঘটনার পর পুলিশ আক্রান্ত মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের সঙ্গে বসিয়ে রেস্তোরাই খাবার খাওয়াচ্ছে। সেখানে পুলিশ খাবার খাইয়ে তাকে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে বলা হয়েছে, এবারের মতো ছেড়ে দিন। পরের বার কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আশ্চর্য্য। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, তার মানে পরে আবারও নিগ্রহের শিকার হতে পারে। পুলিশ মেডিক্যাল রিপোর্ট বদলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।” তিনি বলেন,” রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নেই। এরকমই সারা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ পুড়িয়েছে তৃণমূল। সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গী গোষ্ঠীদের ঘাঁটি তৈরী হয়েছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দলের মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে পারে না। দলের নেতাদের দ্বারা ধর্ষিতা হয়। সেরকম মহিলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই। এটা নারি জাতির কাছে লজ্জা। বাংলার মানুষের লজ্জা। একটা নাবালিকা ধর্ষিতা হল। আর পুলিশ তার বিচার দেওয়ার বদলে ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধিক্কার জানাই রাজ্য পুলিশের ভুমিকায়। অভিযুক্তরা অবিলম্বে গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর অন্দোলন শুরু হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অন্ডাল জিআরপি থানা এলাকার সামনেই ওই উদ্যানে সন্ধ্যা হলে অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়। সমাজ বিরোধীদের আঁখড়া তৈরি হয়। যদিও পরিবারের অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।