পুরুলিয়া, ১৭ ডিসেম্বর (হি. স.) : পুরুলিয়ার মানবাজারে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। রবিবার সকালে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত গ্রামবাসীরা।
মানবাজারের বড়তোড় গ্রামের বাসিন্দা পদ্মা গোপকে এদিন সকালে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়া। গ্রামবাসীরা তাঁকে মানবাজার হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৃহবধূর মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। মৃতের স্বামী সনৎ গোপকেও ব্যাপক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মানবাজার থানার পুলিশ। সনৎ গোপকে উদ্ধার করে মানবাজার থানায় নিয়ে আসে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, সনৎ গোপের সঙ্গে বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল পদ্মার। সনৎ গোপ কর্মসূত্র বাইরে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাড়ি ফিরতেন। সে কারণেই বাপের বাড়িতেও অনেক সময় থাকতেন পদ্মা। মৃতের মা প্রতিমা গোপ জানাচ্ছেন, গত রাতে তাঁদের বাড়িতে আসে তাঁর জামাই। মেয়ে ও তাঁর সন্তান নিয়ে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। এরপরই সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার মেয়ের। পরিবারের অভিযোগ আরও একটি বিয়ে করেছে সনৎ। সে কারেই তাঁদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সনতের শাস্তির দাবিতে মানবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মানবাজার থানার পুলিশ। মানবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাতোয়াড়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।