নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ৯ ডিসেম্বর:
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কংগ্রেসের সি ডব্লু সির সদস্য বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জনগণের সমস্যা গুলি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছেন।
শনিবার বিলোনিয়া সফরে গিয়ে বিলোনিয়া সদর জেলা কংগ্রেস ভবনে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি বলেন, এক ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে সারা রাজ্য জোড়ে। কাজ নেই, বেকারত্বের জ্বালা এবং নেশায় আকৃষ্ট ছাত্র যুব সমাজ।ভেঙে চুরমার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। শূন্যপদ পড়ে থাকলেও এগুলি পূরণ করার কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। কৃষকদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। অকাল বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। কৃষকদের সরকারি সহযোগিতা করা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা চরম অবন্নতি হয়েছে রাজ্যে। অভাব অনটনে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। একসাথে তিনজনও আত্মহত্যা করছে। অভাবের তাড়নায় মানুষ সন্তান বিক্রি করছে। আর এটা বিজেপি সুশাসন বললে কিছু বলার নেই। এগুলি দ্বারা প্রশাসন সম্পর্কে ভালো ইঙ্গিত দেয় না। আর এইগুলি পুঁজি করে কংগ্রেস উদ্যোগ নিয়েছে আগামী দিনে মানুষের সাথে জনসংযোগ তৈরি করার। কারণ গণতন্ত্রের শেষ কথা মানুষই বলবে।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন আরো বলেন তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের মাধ্যমে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একা লড়াই করার কথা শুনেছেন। কিন্তু এটা বিধানসভা, আর উপ নির্বাচন নয়। বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে ইন্ডিয়া জোটে সম্মিলিতভাবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা মেনেই বিরোধীদের চলতে হবে। তাই রাজ্য থেকে কোন নেতা এভাবে একা লড়াই করার কথা বলা একতিয়ারে নেই। তাই ইন্ডিয়া জোট সম্মিলিতভাবে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেটাই হবে রাজ্যে লড়াইয়ের দিশা।
তিনি আরো ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা হয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করতে সিপিএমের সাথে লড়াই করতে গিয়ে কংগ্রেসের মাত্র ১৩ টি আসন মিলেছে লড়াই করার। এবং গত উপনির্বাচনেও দুটি আসনের মধ্যে একটি আসনও দেওয়া হয়নি। এটা অন্যায় হয়েছে। তাই সবকটি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া দরকার ত্রিপুরার দুটি আসনে কংগ্রেসকে তাদের সমর্থন করা বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এই দিন দলের কর্মীদের সাথে কথা বলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করেন।
আয়োজিত এই দিনের সভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল পাটারি, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সদস্য ভোলানাথ ধর, প্রাক্তন মন্ত্রী মনিন্দ্র রিয়াং মহিলা কংগ্রেসের সভা নেত্রী সম্পা দত্ত, যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব অজিতাভ মজুমদার সহ কংগ্রেস দলে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব।