গোসাবা, ৩০ নভেম্বর (হি. স.) : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে গত সোমবার পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে গোসাবার রাধানগর তারানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৪ নম্বর বুথের সভাপতি মুছাক অলি মোল্লাকে। ঘটনায় গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল অনুগামীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের অনুগামী মুছাক অলি এলাকার একটি সরকারি রাস্তা তৈরিতে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার চারদিনের মাথাতেই গোসাবার বিবাদমান দুই তৃণমূল নেতা সুব্রত মণ্ডল ও অনিমেষ মন্ডলকে সাথে নিয়েই মৃতের বাড়ি গেলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা ও রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য দিলিপ মন্ডল। পরিবারের পাশে থাকার বার্তার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে তৃণমূলের মধ্যে কোনরকম কোন্দল নেই সেই বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফ থেকে নিহতের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য যেমন করা হয়, তেমনি পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তাঁরা। মৃতের স্ত্রী তানজিলা মোল্লা ও বাবা নূর মহম্মদ মোল্লাকে সান্তনা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিবারের তরফ থেকে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন জানানো হয় দলের নেতৃত্বের কাছে। তানজিলা বলেন, “ আজ ওনারা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের সংসার কিভাবে চলবে সেই বিষয়টা ওনাদের দেখার আবেদন জানিয়েছি।” সওকাত বলেন, “ দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। পরিবারের পাশে দল আছে। এই ঘটনায় যারা দোষী তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। দলের মধ্যে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই।” এদিন এলাকার মানুষকে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন সওকাত, দিলীপরা।