কেরালা-২৩১(৪৭.১)
ত্রিপুরা-১১২(২৭.৫)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ নভেম্বর।। সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। তাতেই পরাজিত ত্রিপুরা। কেরালকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পরও। জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারলেন না মণিশঙ্কর মুড়াসিং-রা। বিজয় হাজারে ট্রফি ক্রিকেটে। ব্যাঙ্গালুরুর আলোর ক্রিকেট আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরা পরাজিত হলো ১১৯ রানে। কেরালার গড়া ২৩১ রানের জবাবে ত্রিপুরা মাত্র ১১২ রান করতে সক্ষম হয়। রাজ্যদলের পক্ষে একমাত্র রজত দে ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যানই ২২ গজে টিকে থাকতে পারেননি। পর পর তিন ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পরও কেনও প্রথম একাদশে পল্লব দে-কে রাখা হলো তা বোঝা গেলো না। এছাড়া দলনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা-কে অতিতের ছায়া মনে হচ্ছে। টি-২০ পর এই আসরেও ব্যাট হাতে রান নেই ঋদ্ধিমানের। আসরে ৪ ম্যাচ খেলে ২ টি ম্যাচে জয় পেয়ে ত্রিপুরার পয়েন্ট ৮। ১ ডিসেম্বর ত্রিপুরার পঞ্চম প্রতিপক্ষ রেলওয়ে। সকালে টসে জয়লাভ করে কেরালার অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট নেয়। দলের দুই ওপেনার মহম্মদ আজারুদ্দিন এবং রোহন কুন্নোমল শুরুটা দুরন্ত করেন। ওপেনিং জুটিতে ১২২ বল খেলে ৯৫ রান যোগ করে দলকে বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দেন। আজারুদ্দিন ৬১ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ এবং রোহন ৭০ বল খেলে ৬ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ রান করে আউট হতেই কেরালা শিবিরে কালো ছায়া নেমে আসে। ত্রিপুরার বোলারদের দাপটে তখন বেকায়দায় কেরালা শিবির। শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে কেরালা ২৩১ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে শ্রেয়স গোপাল ৩৮ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১,বাসিল টিম্পি ২২ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ এবং অখিল স্কেরিয়া ৪০ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে অভিজিৎ সরকার ৩৩ রান দিয়ে এবং বিক্রম দেবনাথ ৪১ রান দিয়ে ৩ টি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে ত্রিপুরা। শেষ পর্যন্ত ২৭.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করতে সক্ষম হয়। মিডল অর্ডারে রজত দে যদি প্রতিরোধ গড়ে না তুলতেন তাহলে ত্রিপুরার স্কোর ৮০ রানের গন্ডি পার হতো না। রজত ৩৪ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ৫ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ রান করেন। এছাড়া ত্রিপুরার পক্ষে গনেশ সতীশ ৩১ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ এবং পল্লব দাস ২০ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ রান করেন। ত্রিপুরার আর কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানে পা রাখতে পারেননি। কেরালার পক্ষে আখিল স্কেরিয়া ১১ রানে, আখিন ২৭ রানে ৩ টি করে এবং বৈশাখ চন্দ্রায়ন ১৪ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।