উত্তরকাশি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): এক দিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে, এখনও ভগ্ন সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪০ শ্রমিক। জলের পাইপ দিয়ে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন, খাবার। এই পরিস্থিতিতে সোমবার উত্তরকাশি-যমুনোত্রী সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা টানেলে উদ্ধার অভিযান খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি বলেছেন, “উদ্ধারকাজের তৎপরতা এবং ধ্বংসাবশেষ অপসারণ দ্রুত চলছে, ভিতরে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে, আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি, তদন্ত চলছে, আমাদের অগ্রাধিকার হল সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা।” মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, অন্যান্য সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা ৪০ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ করছে। আমরা আটকে পড়া মানুষজনের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন তাঁদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।”
সোমবার সকালেই স্বস্তির বার্তা শোনান উত্তরকাশির সার্কেল অফিসার প্রশান্ত কুমার। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলায় নির্মীয়মান টানেল ভেঙে পড়ার ঘটনায় সোমবার সকালে তিনি জানিয়েছেন, “টানেলের ভেতরে আটকে রয়েছেন ৪০ জন। সবাই নিরাপদ রয়েছেন, আমরা অক্সিজেন ও জল সরবরাহ করছি।” তিনি আরও জানান, “বর্তমান পরিস্থিতি হল, গতকাল (রবিবার) আমরা টানেলের ভিতরে আটকে পড়া মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছি। সবাই নিরাপদ, আমরা অক্সিজেন এবং জল সরবরাহ করেছি। আমরা টানেলের ভিতরে যাওয়ার জন্য পাশ দিয়ে পথ তৈরি করছি। যোগাযোগ স্থাপনের পর প্রায় ৪০ জন ভিতরে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, রবিবার উত্তরকাশি-যমুনোত্রী সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা নির্মীয়মান একটি টানেল ভেঙে পড়ে। নীচে আটকে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। উত্তরকাশির সার্কেল অফিসার প্রশান্ত কুমার বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ মিটার ড্রিল করেছি, তবে আমাদের এখনও ৩০ থেকে ৪০ মিটার ড্রিল করতে হবে (যারা ভিতরে আটকে আছেন তাঁদের উদ্ধার করতে)।”