এন আই এ এর অভিযানের পর ফের ১৪ জন অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাব্রুম, ১৩ নভেম্বর : প্রশাসনের কঠোর মনোভাব উপেক্ষা করেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত ডিঙিয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। তাতে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ১৪ জন বাংলাদেশে নাগরিককে বেআইনি অনুপ্রবেশ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশকে ঘুমিয়ে রেখে রাজ্যে অভিযান চালিয়ে একুশ জন মানব পাচারকারীকে জালে তুলে দিল্লি নিয়ে যায় এনআইএ টিম। আর অভিযানের পর বিএসএফ জওয়ানরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশকে ঘোমে রেখে মানব পাচারে করিডর হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। এবং গত কয়েকদিনে গোটা দেশে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বহু রোহিঙ্গা আটক করেছে এন আই এ টিম। এবং এন আই এ অভিযানের পর সক্রিয় হয়েছে বিএসএফ।

রবিবার সকালে বিএসএফ সাব্রুমের বৈষ্ণবপুর থেকে ১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত বাংলাদেশি কয়েকজন রেলে করে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল বলে জানা গেছে।
আটককৃত বাংলাদেশিদের বর্তমানে সাব্রুম থানাতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে যতদূর খবর রাজ্যের গোয়েন্দার শাখার ব্যর্থ থাকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরা মানব পাচারের করিডোর হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন টিম।

ধৃত বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে বহু তথ্য বের হয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এদিকে জানা যায় ধৃত ১৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে অবৈধ ভাবে রাজ্যে নিয়ে আসার সাথে জড়িত ক্রাইসু মগ, আথুভাই মগ ও খোকা ত্রিপুরা। তাদের বাড়ি বৈষ্ণবপুর সীমান্ত এলাকায়।এই তিন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে সাবরুম থানার পুলিশ। তাদের সাথে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। সাব্রুম থানার ওসি জানান ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিক আটকের পাশাপাশি তিন মানব পাচারকারিকে আটক করা হয়েছে। তিন জনের মধ্যে দুই জন মহিলা রয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। ধৃত পাচারকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পলাতক বাকি দুই জনকেও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

 পুলিশ ধৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পেরেছে ধৃতরা দিল্লিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজ্যে এসেছে। শুধু মাত্র সাব্রুম সীমান্ত নয়, রাজ্যের সোনামুড়া সহ আরও বেশকিছু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতি নিয়ত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ। আর এই সকল সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানব পাচার করা হয়, ইতিমধ্যে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে। যা উদ্বেগের বিষয়। এখন দেখার আরক্ষা দপ্তর অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *