দলের ঘোষণার আগেই শতাব্দীকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী বলে মন্তব্য চন্দ্রনাথের

বীরভূম, ১০ নভেম্বর (হি.স.): পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে৷ কিন্তু কোনও দলই এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেনি৷ কারও নাম ঘোষণাও হয়নি৷ তৃণমূল কংগ্রেসও তার ব্যতিক্রম নয়৷ তার পরও বীরভূম লোকসভা আসনে শতাব্দী রায়ের নাম ঘোষণা করে দিলেন ওই জেলার ওজনদার তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ৷

এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের কি এতে সম্মতি আছে? যদি সম্মতি না থাকে, তাহলে কীভাবে তিনি এই ঘোষণা করলেন?

বৃহস্পতিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিজয়া সম্মিলনী ছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা৷ সেখানেই সাংসদকে পাশে বসেই কার্যত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে শতাব্দীর নাম ঘোষণা করে দেন মন্ত্রী৷

চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “২০১৪ সালে বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা আজও পূরণ করেনি৷ ২০১৯ সালেও তাই৷ বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। তবে আগামী লোকসভায় বীরভূম জেলার মানুষ হিসেবে আমার দুটো আসল উপহার দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখানে আপনাদের সাংসদ শতাব্দী বসে আছেন। তাঁকে আগামীতে বিপুল ভোটে জিতিয়ে প্রমাণ করে দিতে হবে সাঁইথিয়া শহর তৃণমূলের শহর।”

বীরভূম লোকসভা আসনে শতাব্দী প্রথমবার জেতেন ২০০৯ সালে ৷ তার পর দু’বার (২০১৪ ও ২০১৯) তাঁকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে৷ দু’বারই তিনি জিতেছেন৷ এবারও হয়তো তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর উপরই ভরসা রাখবে৷ কিন্তু ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিতে কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়৷ স্বাভাবিকভাবেই তাই চন্দ্রনাথের এই বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে৷

যদিও এই প্রসঙ্গে মন্ত্রীর সাফাই, “আমরা জেলা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করব না। তবে আমাদের আবেদন শতাব্দী রায়ই প্রার্থী হোক।”

আর শতাব্দী প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “কে প্রার্থী হবেন, আমি কী করে বলব? যিনি বলেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন!“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *