নিজস্ব প্রতিনিধি, বামুটিয়া, ২ নভেম্বর : সিধাইয়ের বামুটিয়ার ভোগজুর গ্রাম থেকে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর সহযোগে এক নাবালিকাকে অপহরণের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র খুব সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেপুটেশন প্রদান করেছেন।
বামুটিয়ার ভোগজুর গ্রামে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়িতে ডেপুটেশনের পর পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে নাবালিকা।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দুইটা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে। যদিও অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বাবা ছেলে এবং ঠাকুরমা মিলে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠে এসেছে তাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বামুটিয়ার বড়জোস গ্রামের রাজেশ রায়ের নাবালক ছেলেকে বিয়ে করানোর উদ্দেশ্যে রাজেশের পিসি সাধনা রায় ( ত্রিপুরা পুলিশের কর্মরত) সমেত নাবালক ছেলে ও রাজেশ রায় মিলে নাবালিকাকে তার বাড়ি থেকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সোমবার রাতে পুলিশে অভিযোগ করা হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।
অবশেষে এলাকার মানুষের ডেপুটেশনের মুখে অভিযোগ গ্রহণ করে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় ওই রাতেই। অভিযোগ মূলে সাধনা রায়কে রাতেই বামুটিয়া ফাঁড়িতে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও পরে ওনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এসপি অফিসে উনাকে ক্লোজ করা হয়েছে। দাবি উঠেছে, নাবালিকা অপহরণ কান্ডে পুলিশি পোশাক গায়ে জড়িয়ে সরাসরি অপরাধ কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অন্যতম অভিযুক্তকে অতিসত্বর সাসপেন্ড করার। কারণ তিনি দপ্তরে কর্মরত থাকলে তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার সম্ভবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, রাজেশ রায় এবং তার ছেলেকে অতিসত্বর গ্রেফতার করার দাবি উঠেছে। এদিকে বুধবার দিনভর জিবিপি হাসপাতালে নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার পর বাড়ি পাঠায় পুলিশ। কিন্তু বিকেলেই পুনরায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসে পুনরায় নাবালিকাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। সেখানে যেতেই নাবালিকাকে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ভর্তি থাকতে বলা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

