২০২৭ সালের আগে দেশের দুই কোটিরও বেশি কৃষক জৈব চাষের সাথে যুক্ত হবে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ

নয়াদিল্লি, ২৫ অক্টোবর: কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন যে. ২০২৭ সালের আগে দেশের দুই কোটিরও বেশি কৃষক জৈব চাষের সাথে যুক্ত হবে। দেশের অধিকাংশ কৃষক জৈব চাষের দিকে ঝুঁকেছে এবং সরকার তাদের উৎপাদিত জৈব পণ্য থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা পাইয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রী শাহ সোমবার,২৩ অক্টোবর নতুন দিল্লিতে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ফর এক্সপোর্টস লিমিটেড ( এনসিইএল) এর লোগো,ওয়েবসাইট এবং প্রচার পুস্তিকার উদ্বোধন করতে গিয়ে একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, দেশে জৈব চাষের প্রসারে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের সমবায় ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করা কেন্দ্রের লক্ষ্য, কৃষি-রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কৃষকদের ক্ষমতায়ন সরকারের উদ্দ্যেশ্য। তিনি বলেন, সমবায়কে সহজতর করার পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ করে দেওয়া এবং কৃষক, সমবায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করার জন্যে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এনসিইএল তৈরি করা হয়েছে রপ্তানি বৃদ্ধি, বিশেষ করে কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধি কৃষকদের সমৃদ্ধ করা, ফসলের ধরন পরিবর্তন করা র লক্ষ্য নিয়ে। এবং ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের ২ কোটি কৃষককে তাদের জমিকে প্রাকৃতিক হিসেবে ঘোষণা করতে সক্ষম করাও এর উদ্দ্যেশ্য। শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশে প্রাকৃতিক চাষের প্রসারে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, মোদীজি এমন একটি বহুজাতিক (মাল্টি স্টেট) সমবায় সমিতির গঠন করেছেন যা ভারতের ২ কোটিরও বেশি কৃষকের উৎপাদিত জৈব পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে সমর্থ হবে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত জৈব পণ্যের বর্তমানে যা মূল্য পাচ্ছে তার তুলনায় প্রায় দেড় থেকে দুইগুণ বেশি মূল্য পাবে।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন যে, জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আন্তর্জাতিক জৈব জ্বালানি জোট (গ্লোবাল বায়ো ফুয়েলস এলায়েন্স) শুরু করেছিলেন। বর্তমানে ভারত এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যা ইথানল এবং অন্যান্য জৈব জ্বালানি সম্পর্কে বিশ্বে সচেতনতা তৈরি করছে। তিনি বলেন, এতে চাহিদা বাড়বে এবং ভারতের কাছে সেই চাহিদা পূরণের সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রী গোয়েল বলেন, ভারতে বেশকিছু সংস্থা ইথানল তৈরি করে। দেশের সমবায় ক্ষেত্রও যদি উদ্যোগ নেয় তবে ইথানলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে ভারত।