মুস্তাক আলী : নাগাল্যান্ড জয়ের পরটানা চার ম্যাচে পরাজিত টিম ত্রিপুরা

দিল্লি: ১৬৯/৪(২০)
ত্রিপুরা: ৮৩/১০(১৪.১)

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ অক্টোবর।। সেই ট্র্যাডিশনাল পরিস্থিতি ত্রিপুরা দলের। সৈয়দ মুস্তাক আলী সিনিয়র ক্রিকেটে টি-টুয়েন্টিতেও একই হাল ত্রিপুরার। পরাজয় যেন ত্রিপুরা দলের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে। ‌ সেই প্রথম ম্যাচে নবাগত নাগাল্যান্ডকে বাগে পেয়ে তাও এক বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিলেও “কষ্টার্জিত জয়” বলে অনেকের থেকেই কটুক্তি শুনতে হয়েছিল। জয়ের আর দেখা নেই। দ্বিতীয় ম্যাচে তামিলনাড়ুর কাছে ৮ উইকেটে, তৃতীয় ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের কাছে ৩৭ রানে, চতুর্থ ম্যাচে উত্তরপ্রদেশের কাছে ৬৮ রানে পরাজয়ের পর আজ, বুধবার দিল্লির কাছে। মোটকথা, এনিয়ে পরপর চার ম্যাচে হেরে ত্রিপুরা এখন ঘরে ফেরার প্রহর গুনছে। যদিও গ্রুপ লীগে নিজেদের অন্তিম ম্যাচটা খেলবে ২৭ অক্টোবর কর্নাটকের বিরুদ্ধে। বুধবারে, দেরাদুনের মহারানা প্রতাপ কলেজ গ্রাউন্ডে দিল্লির কাছে ত্রিপুরা দলের পরাজয়টাও যেন প্রত্যাশিত-ই মনে হয়েছে। টস জিতে ত্রিপুরার অধিনায়ক প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে সীমিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে। ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে দিল্লির অবস্থা কিছুটা সঙ্গীন হলেও ললিত যাদব ও যশ ধূল-এর চতুর্থ উইকেটের জুটিতে অনবদ্য ১১৬ রান সংগ্রহ দিল্লির স্কোর কার্ড পাল্টে দেয়। যশ ৫৬ রানে মনিশঙ্কর মুরা সিং-এর দ্বিতীয় শিকার হলেও ললিত যাদব অপরাজিত থেকে যায় ৬৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ত্রিপুরা বিশেষ করে ওপেনার বিক্রম কুমার দাসের ৪৫ রানের উপর ভর করে ৮৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ওপেনার বিক্রম ৩৩ বল খেলে সাতটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করলেও অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা সম্ভব হয়নি। দিল্লির ললিত ১০ রানে এবং সুযশ শর্মা তিনটি করে উইকেট পেয়েছে। এদিকে, একই সময়ে অপর মাঠের খেলায় উত্তরপ্রদেশ ৬ উইকেট এর ব্যবধানে কর্নাটককে পরাজিত করেছে। দিনের তৃতীয় খেলায় মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর ম্যাচটি তখনও চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *