কলকাতা, ২৪ অক্টোবর (হি.স.): কমলাকান্তের সেই লেখা দশমীর জন্য বড্ড তাৎপর্যপূর্ণ, ‘পরাণ থাকিতে কায়, গৌরী কি পাঠানো যায়?’ তবু গৌরীকে, উমাকে বিদায় যে দিতেই হয়।
বিষাদে জড়ানো দশমী। তবে মন খারাপের মাঝেও চলছে উদযাপন। দশমীর পুজো শেষ হতেই সকাল থেকে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেলা শুরু। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। অংশত মেঘলা আকাশ। সেই আকাশেই মিশছে ঢাকের বোল, ‘আসছে বছর আবার হবে’।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে থালা হাতে বাড়ির মেয়ে বউরা। মিষ্টি, টাকা, সিঁদুরের পাত্র। কলকাতার ছোট-বড় যেখানে দুর্গাপুজো হচ্ছে, সব আবাসনেই হয়েছে ঘটা করে সিঁদুর খেলা। এই খেলা ছোট পর্দায় দেখাতে মূলত বিত্তবানদের জন্য চিহ্ণিত আবাসনগুলোয় প্রতাবারের মত এবারেও হাজিরা দিয়েছে নামী সংবাদচ্যানেল।
সিঁদুরখেলা যেমন চলছে, তেমনই বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনও। বিশেষ করে বাড়ির ঠাকুর নিরঞ্জন শুরু। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বাবুঘাট। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যে ঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে দু’জন ভিতরে আসতে পারবেন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলবে প্রতিমা বিসর্জন। যখনই প্রতিমা জলে ফেলা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে নজরদারির বিশেষ দল প্রতিমার কাঠামো তুলে নিচ্ছে। তা ঘাটে একটি পাশে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ফুল বেলপাতা পুজোর সামগ্রীও তুলে রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুত।