হাফলঙে এবার ২৩টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা, প্রতিমায় চলছে শেষ তুলির টান


হাফলং (অসম), ১৯ অক্টোবর (হি.স.) : আগামীকাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলায় এখন উৎসবের আমেজ। এবার শৈলশহর হাফলঙে দুটি পুজো বেড়ে হয়েছে মোট ২৩টি। তার মধ্যে এবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বড় হাফলং শিব মন্দিরের পূজা। হাফলঙের প্ৰায় সব মণ্ডপে স্থাপিত প্রতিমায় শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

এই পূজার সভাপতি উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী অজয় চক্রবর্তী। প্রথমবারের মতো পূজার আয়োজন করে এবার চমক সৃষ্টি করতে চাইছেন কমিটির সদস্যরা। পুজোর বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ঢাকির দল আসছে কলকাতা থেকে।

পুজোর তিন দিন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা, জানিয়েছেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা।

এদিকে হাফলং শহরের অন্যতম পূজা কমিটি মা শক্তি দুর্গা পূজা কমিটি এবার মণ্ডপ তৈরিতে তেমন চমক সৃষ্টি না করলেও প্রতিমা গড়া হয়েছে দৃষ্টিনন্দন করে। পূজা কমিটির অন্যতম সদস্য দিলীপ মিত্র জানিয়েছেন, প্রতিমা নির্মাণ করেছেন প্রদেশ ভট্টাচার্য। এবার প্রতিমা দেখতে মা শক্তি দুর্গা পূজা কমিটির পুজোয় ব্যাপক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। তাছাড়া, অন্যান্যবারের মতো থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

অন্যদিকে, হাফলং শহরের সবচেয়ে প্রাচীন পূজার মধ্যে হচ্ছে হাফলং জগন্নাথ মন্দির ও হাফলং টাউন কালীমন্দির পূজা কমিটি এবং হাফলং রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পূজা। ১১২ বছর পুরনো হাফলং জগন্নাথ মন্দিরের পূজা অনুষ্ঠিত হয় সম্পূর্ণ সাত্ত্বিকতা বজায় রেখে। পুজোর তিনদিনই ভক্তদের জন্য রাখা হয় মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

এদিকে হাফলং টাউন কালীমন্দিরে চলছে নবরাত্রির পূজা। মহালয়ার পরের দিন থেকে শুরু হয়ে গেছে নবরাত্রির পূজা। হাফলং কালীমন্দিরে নয়দিনই ভক্তদের জন্য মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়।