নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৭ অক্টোবর : হাতে গোনা তিনদিন অর্থাৎ রাত পোহালে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। বাঙালির ঘরে ঘরে একেবারে সাজো সাজো রব। এই উৎসবকে সামনে রেখে বিভিন্ন ক্লাবগুলি এবং কমিটিগুলি সেজে উঠেছে। ধর্মনগরে যেসব পূজামন্ডপ সাধারণ মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে ওঠে তার মধ্যে শহরের মধ্যমণি বলে পরিচিত মধ্য শহর সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পুজো। এবারের পুজোর এদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে মাতৃ ঋণ। যে মাতৃঋণ প্রতিটি জীবজন্তু থেকে শুরু করে শ্রেষ্ঠ জীব মানবজাতি পর্যন্ত শোধ করতে পারেনা সেই ঋণের মাহাত্ম্য নিয়ে পূজামন্ডপ তৈরি করছে ধর্মনগরের ছেলে বিভু পাল।
সে শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করে যে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করেছে তার পরিস্ফুটন হবে এই মন্ডপে। সম্পূর্ণভাবে ইকো ফ্রেন্ডলি এই মন্ডপটি তৈরি হবে। এ মন্ডপে কাক এবং প্লাইউড ব্যবহার করে সুসজ্জিত করা হচ্ছে। থাকবে না কোন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না কোন দাহ্য বস্তু। প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ঢাকেশ্বরীর আদলে। এই প্রতিমা তৈরি করছেন ধর্মনগরের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী দিলীপ পাল। তবে আলোকসজ্জায় মন্ডপটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আগরতলা শিল্পীরা কাজ করে যাচ্ছে। এবার এদের ১১তম নিবেদন এবং এখন পর্যন্ত যা বাজেট ধার্য করা হয়েছে তা ১২ লক্ষ টাকা পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ক্লাবের সদস্যরা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের ক্লিন ধর্মনগর গ্রিন ধর্মনগর এই স্লোগান কে সামনে রেখে বেশ কিছু স্বচ্ছ ভারত অভিযান ইতিমধ্যেই করেছে। ধর্মনগর কে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে প্লাস্টিকের বিকল্প কেরি ব্যাগ গুলি সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হবে বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পূজা মন্ডপের সামনেই তৈরি হচ্ছে সাংস্কৃতিক মঞ্চ। এই মঞ্চে চারদিন ধরে চলবে বিশিষ্ট শিল্পীদের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা। এই ক্লাবকে ধর্মনগরের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে একটি উৎকৃষ্ট ক্লাব বলে ধর্মনগর বাসী বিবেচনা করে থাকে। সঙ্গে রয়েছে প্রতিবছর তাদের পূজা মন্ডপ এবং প্রতিমাতে নতুনত্ব প্রদর্শন।