কলকাতা, ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : ‘‘আজকে রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। তবে রাজনীতির কথা বলতে আমি আবার বাংলায় আসব। রাজনীতির কথা বলব। এখানে পরিবর্তনের জন্য সমস্ত শক্তি ঢেলে দেব। তবে এখন দু্র্গা পুজো। আজ মায়ের কাছে গোটা দেশের জন্য সুখ-শান্তি প্রার্থনা করব। যেন অন্যায়মুক্ত হয় বাংলা।”
সোমবার মধ্য কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো (বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের উদ্যোগে) উদ্বোধন করতে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেই মঞ্চ থেকে কোনও দলের নাম করে না করে শাহ এ কথা বলেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর নিশানা কী। রাজনীতির কথা বলবেন না বলেও ঠারেঠোরে সেই রাজনীতির কথাই বলে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, সজল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
এ বার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম অযোধ্যার রামমন্দির। সেই পুজোর উদ্বোধন করে শাহ বলেন, ‘‘আগামী জানুয়ারি মাসে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে কলকাতাবাসী রামমন্দিরের উদ্বোধন করে দিলেন। দুর্গাপুজোর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে রামমন্দিরের ভাবনা পৌঁছে দিল কলকাতা।”
শাহ আরও বলেন, ‘‘মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থনা, বাংলায় যেন দুর্নীতি, অত্যাচারের দ্রুত অবসান হয়।’’ শাহের কলকাতায় আসা ছিল আক্ষরিক অর্থেই ঝটিকা সফর। সকালে গুজরাত থেকে বেরিয়ে ছত্তীসগঢ়ের ভোটের প্রচারে যান শাহ। সেখান থেকে আসেন কলকাতায়। সজলের পুজের উদ্বোধন করেই রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে।
শাহের সফরের আগে রবিবার বিজেপির বৈঠকে ‘অনৈক্য’ দেখা গিয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকলেও ছিলেন না দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু আবার বলেছিলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত তিনি জানতেনই না, অমিত শাহ আসছেন। সোমবারের মঞ্চে দিলীপবাবু বাদে সকলেই ছিলেন। সব মিলিয়ে অমিত শাহর এই ঝটিকা সফরেও বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।