মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার নির্দেশ আদালতের

কলকাতা, ১৬ অক্টোবর, (হি.স.): বিজেপি কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। কর্মীর পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন। এবার তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাচ্ছে ততদিন নারকেল ডাঙা থানা ব্যবস্থা নেবে।

সোমবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি কর্মীর পরিবারকে হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের উপর ভরসা হারিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রদানের কথা জানালেন বিচারপতি।

বিভিন্ন সময়ে পুলিশ কর্মী মদ্যপ অবস্থায়, কখনও একজন সাধারণ পোশাকে ডিউটি করতে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পরিবারের সদস্যদের এভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। এই নিয়ে পুলিশ বিভাগীয় তদন্ত পুলিশ করছে।

বারবার অভিযোগ ওঠায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে বিচলিত কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিন আদালতে জানানো হয়, এই রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী মাওবাদী অপারেশনে ব্যস্ত। যদি কোর্ট নির্দেশ দেয় তাহলে নিরাপত্তা দেবে বাহিনী। বিচারপতি এর উত্তরে জানান, খুনের ঘটনায় মূল সাক্ষী দু’জন। আগেও দুবার তাদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আদালত নির্দেশ দেয়, তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে ততদিন নারকেল ডাঙা থানা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।

২০২১ সালের ২ মে খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন খুন করা হয়েছিল কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হতে।

তৎকালীন বিধায়ক পরেশ পালকে এই ঘটনায় তলব করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের ওপরেও হামলার অভিযোগ তোলা হয়। অভিজিৎ খুনে দুই অভিযুক্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিশ্বজিতের বাড়ির কাছে দুই পুলিশ কর্মী ডিউটি করছিলেন। সেই সময় তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেন বিশ্বজিৎ সরকার। ঘটনায় গোটা পরিবার আতঙ্কের মধ্যে পড়ে। পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পুলিশের নিরাপত্তায় তাঁরা ভরসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলা হয়।