ত্রিপুরা-৮৮ (২৬.৪)
তামিলনাড়ু-৮৯/১ (১৫.৫)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর।। টুর্নামেন্ট শুরু হতে না হতেই ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয়! লড়াই করার ছিটেফোটা মানসিকতাও দেখা যায়নি ত্রিপুরার ক্রিকেটারদের মধ্যে। শক্তিশালী তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়লো ত্রিপুরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ত্রিপুরা হারলো ৯ উইকেটে। অনূর্ধ্ব-১৯ ভিনু মানকড় ট্রফি ক্রিকেটে। দিল্লির পালামে এয়ারফোর্স কমপ্লেক্সে মাঠের ২২ গজে কার্যত লুটিয়ে পড়লেন সপ্তজিৎ দাস-রা। ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে তামিলনাড়ুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো ক্রিকেটারদের ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজে’ বৃহস্পতিবার তা উধাও ছিলো। যার ফলে বিনা লড়াইয়ে আত্মসমর্পন করলেন দ্বীপজয় দেব-রা। ত্রিপুরার গড়া মাত্র ৮৮ রানের জবাবে গেলোবারের জাতীয় আসরে রানার্স তামিলনাড়ু ৩৪.১ ওভার বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রযোজনীয় রান তুলে নেয়। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে ত্রিপুরা শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করলেও দলের পরের ব্যাটসম্যানদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায়, ২৬.৪ ওভার ব্যাট করে। ত্রিপুরার দুই ওপেনার দেবাংশু দত্ত এবং দ্বীপজয় দেব শুরুটা ভালো করে তামিলনাড়ুর সামনে লড়াই করার মতো স্কোর দাড় করানোর আভাষ দিয়েছিলেন। দেবাংশু ২৩ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ রানে এবং দ্বীপজয় ৩৭ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করে আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় ত্রিপুরার ইনিংস। দীপঙ্কর ভাটনাগর, সপ্তজিৎ দাস-রা চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় দল চাপে পড়ে যায়। শেষ দিকে অভিক পাল ১৫ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রান করেন। তামিলনাড়ুর পক্ষে ভি এস কার্তিক মানিন্দম ১৩ রান দিয়ে ৪ টি এবং পি ভিগন্যাস ২২ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট দখল করেন। জবাবেকেলতে নেমে ত্রিপুরার নির্বিশ বোলিংয়ের সামনে ১৫.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। তামিলনাড়ুর পক্ষে কে টি এ মাধবা ৩৬ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ রানে এবং অক্ষয় আর সারংধা ২৩ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। এছাড়া দলের পক্ষে এস মহম্মদ আলি ৩৮ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে অর্কজিৎ রায় ১৬ রান খরচ করে একমাত্র উইকেটটি দখল করেন। ১৪ অক্টোবর ত্রিপুরা আসরের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মিজোরামের বিরুদ্ধে।

