পুজোর মুখে ছাঁটাই, পুনর্বহালের দাবীতে কাঁকসায় গ্যাস উত্তোলক পিটে ছাঁটাই হওয়ায় পরিবারদের বিক্ষোভ

দুর্গাপুর, ১১ অক্টোবর (হি. স.) : পিট বন্ধ অন্যত্র ট্রান্সফার না করে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ। কাজ হারিয়ে চরম অনিশ্চিয়তার মুখে বরখাস্ত হওয়া চারজন নিরাপত্তা রক্ষীর পরিবার। পুনর্বহালের দাবীতে গ্যাস উত্তোলক পিটের সামনে পরিবার সন্তানদের নিয়ে অবস্থানে বসল বঞ্চিত নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কাঁকসার গোপালপুরে। অভিযোগ অর্থের বিনিময়ে তাদের বদলে অন্য চারজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন হয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছর দশেক ধরে ভুগর্ভস্ত মিথেন গ্যাস উত্তোলন কাজ করছে বেসরকারী গ্যাস উত্তোলক সংস্থা। তাবাৎ খনি অঞ্চল সহ কাঁকসার বিভিন্ন এলাকায় তাদের গ্যাস উত্তোলনের পিট রয়েছে। জানা গেছে, কাঁকসার গোপালপুরে এরকমই একটি পিটে গ্যাস শেষ হওয়া সেটি বন্ধ করে দেয়। আবার পার্শ্ববর্তী গ্রামে নতুন পিট তৈরী করা হয়। অভিযোগ পুরোনো পিট বন্ধ হওয়ায় সেখানের নিরাপত্তা রক্ষীদের নতুন পিটে কাজ নিয়োগ না করে ছাঁটাই করা হয়। ফলে ওইসব পরিবারে সঙ্কট নেমে আসে। বুধবার পুনর্বহালের দাবীতে ছা়টাই হওয়া নিরাপত্তা রক্ষীদের পরিবার গ্যাস উত্তোলন পিটে এসে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করে।

ছাঁটাই হওয়া এক নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে সুদীপ্তা রজক এদিন জানান,” বাবার রোজগারে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হয়েছি। হসপিটাল ম্যানেজম্যান্টে পড়ছি। এখন বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় অনিশ্চিয়তায় পড়েছি। আগামীদিনে আমার ভবিষ্যত কি হবে। আমাদের সংসার কিভাবে চলবে। পুজোর মুখে নতুন জামা কাপড় দুর অস্ত আমাদের সংসার কিভাবে বাঁচবে। চরম সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। তাই বাবার কাজ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।” ছাটাই হওয়া নিরাপত্তারক্ষী দিনেশ ঘোষ বলেন,” গত ১০ বছর ধরে কাজ করছি। এখন আমাদের অন্যায়ভাবে ছাটাই করা হল। পাশের গ্রামে ইউনিটে নিয়োগ না করে, সেখানে শাসকদল মোটা টাকার বিনিময়ে অন্যদের নিয়োগ করেছে। আগামীদিনে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই।” যদিও বেসরকারী ওই গ্যাস উত্তোলক সংস্থা কোন মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁকসা ব্লক সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,” ওই সংস্থার নিয়ম রয়েছে, যেখানে পিট তৈরী হবে। সেখানের লোককে কাজে নিতে হবে। এখন গোপালপুরের ওই পিটে গ্যাস শেষ হওয়ায় বন্ধ করে দিয়েছে ইউনিটটি। তাই তাদের বসিয়ে দিয়েছে। এখানে কোনরকম রাজনীতির যোগ নেই।”