BRAKING NEWS

এবারে শশুর বাড়িতে আক্রমণের শিকার জামাই, ঘটনা কৈলাশহরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাশহর, ১০ অক্টোবর: শ্বশুর বাড়ির লোকের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক অসহায় ব্যক্তি। এই ঘটনাটি ঘটে সোমবার কৈলাশহরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৈলাসহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি।প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় যে বিগত চার বছর পূর্বে কিনাইচর এলাকার বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে শেখ ফরিদ আলমকে কুবঝার এলাকার বাসিন্দা রুজিনা বেগমকে সামাজিক রীতি মেনে বিবাহ করে।  ওদের সংসারের বর্তমানে একটি সন্তান রয়েছে । বিয়ের আগ থেকেই রুজিনা বেগম তার মামা সমসের আলীর বাড়ি অর্থাৎ টিকরবাড়ি এলাকায় থাকত। অভিযোগ বিগত এক বছর পূর্বে রুজিনা বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে মামার বাড়ি অর্থাৎ টিকরবাড়ি এলাকায় চলে আসে তার সন্তানকে নিয়ে । এরপর স্বামী শেখ ফরিদ আলম তার স্ত্রীকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে যায় । অভিযোগ সেখানে যাওয়ার পর এক ঠিকেদারের সাথে রোজিনা বেগমের প্রণয় সম্পর্ক স্থাপন হয়। এখানেই শেষ নয়।  তারপর সেখানকার বসবাসকারী লোকেরা রোজিনা বেগম এবং তার স্বামীকে বিতাড়িত করে বেঙ্গালুরু থেকে। এরপরেই আবার রোজিনা বেগম তার মামার বাড়িতে থাকতে শুরু করে তার সন্তানকে নিয়ে এবং তার স্বামী পুনরায় চলে যায় বেঙ্গালুরুতে । অভিযোগ গতকাল স্বামী শেখ ফরিদ আলম বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে তার মামা শ্বশুর বাড়িতে যায় তার স্ত্রী সন্তানকে দেখতে। তখনই নাকি তার সাথে দুর্ব্যবহার করে তার মামা শ্বশুর বাড়ির  লোকেরা ।  রাত্রিবেলা তার স্ত্রীকে নিয়ে এসে শুয়ে পড়লে আজ ভোররাতে তার ঘুম ভাঙলে দেখতে পায় যে তার স্ত্রী খাটের মধ্যে নেই। তার স্ত্রী ও তার মামা শ্বশুরকে সে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখতে পায় বলে অভিযোগ। তা দেখে তার চক্ষু কপালে উঠে যায়। এরপর সে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারপিট চালায় বলে অভিযোগ । তার মামা শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আজ সকালবেলা তার ছেলেকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে তখনই নাকি মামাশ্বশুর শমসের আলী, শাশুড়ি, মাসি শাশুড়ি এবং তার স্ত্রী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারপিট চালায় । যার ফলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। এমনকি তার থেকে নগদ অর্থ একলক্ষ টাকা ওরা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

   পরবর্তী সময় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় শেখ ফরিদ আলমকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকেরা এবং উক্ত বিষয় নিয়ে কৈলাশহর থানায় মামাশশুর সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শেখ ফরিদ আলমের পিতা সুরুজ আলী। ন্যায্য বিচারের দাবিতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয় শেখ ফরিদ আলমের পরিবার। অন্যদিকে শেখ ফরিদ আলমের পরিবার রুজিনা বেগমকে ওদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে রোজিনা বেগমকে শেখ ফরিদ আলমের বাড়িতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় রোজিনা বেগমের পরিবারের লোকেরা। এখন দেখার বিষয় হলো পুলিশ প্রশাসন তদন্তক্রমে কি ভূমিকা গ্রহণ করে । সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *