দক্ষতার সঙ্গে বুদ্ধির মিশেলে দ্বিমুকুট জয়ের দোরগোড়ায় এগিয়ে চলো সংঘ

এগিয়ে চলো-‌২ (মালসোয়াম-২ )                                                                   লালবাহাদুর-‌০

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ অক্টোবর।। স্কিল এবং বুদ্ধি, দুই এর মিশেলে এগিয়ে চলো সংঘ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সকালে অবশিষ্ট ১৪ মিনিটের খেলা শেষে ফরোয়ার্ড ক্লাব প্রথম জয়ের স্বাদ পেতেই এগিয়ে চলো সংঘ হিসেবে কষে নেয়, বিকেলের ম্যাচে লাল বাহাদুর ব্যায়ামাগারের বিরুদ্ধে ঠিক কিভাবে খেলতে হবে। অঘটন ঘটলে তো কিছু করার নেই, তবে যতক্ষণ ম্যাচ হাতের মুঠোয়, ততক্ষণ বুদ্ধি এবং স্কিল এর উপর ভর করে এগিয়ে চলো সংঘ ঠিক গণিতবিদের চিন্তাধারায় প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে এক গোল এবং শেষার্ধের ২৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। তাও সুযোগ সন্ধানী, দুরন্ত এবং নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার মালসোয়াম দুঙ্গার সৌজন্যে। একদিকে দ্বিতীয় ম্যাচের মাথায় প্রথম জয়ের স্বাদ, অপরদিকে দুই গোলের ব্যবধানে জয়। ফরোয়ার্ড রামকৃষ্ণ ম্যাচের রেজাল্টে ফরোয়ার্ড ন্যূনতম গোলে জয় পেয়েছে। স্বাভাবিক কারণে নিখুঁত হিসেবে তৃতীয় রাউন্ডের খেলার আগে এগিয়ে চলো সংঘ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আলাদা একটা মনোবল পুঁজি করে এগিয়ে চলো সংঘ তৃতীয় রাউন্ডে ফরোয়ার্ড ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। লক্ষ্য একটাই, ভালো খেলার মধ্য দিয়ে অন্ততপক্ষে ন্যূনতম গোলে জয় কেন! ম্যাচ ড্র হলেই কিন্তু এগিয়ে চলো সংঘ চ্যাম্পিয়ন খেতাব পেয়ে যাবে। গতবারের মতো এবারও দ্বিমুকুট চলে আসবে এগিয়ে চলো-র ঘরে। পক্ষান্তরে ফরোয়ার্ড ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পেতে হলে, জয় ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শনিবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ ২-‌০ গোলে পরাজিত করে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারকে। ওই জয়ের ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্ম ভাবে পয়েন্ট তালিকায় ফরোয়ার্ডের সঙ্গে শীর্ষে রয়েছে এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। এদিনের ম্যাচের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। রাজীব সাধন জমাতিয়া এবং সোরখাম বাই এর নেওয়া দুটি শট যদি ক্রশবারে লেগে প্রতিহত না হত। নিশ্চিত দুটি গোল থেকে বঞ্চিত হয় শিল্ড জয়ী দল। খেলার শুরু থেকেই এগিয়ে চলো ম্যাচ দখলে নেয়। অপরদিকে লালবাহাদুরের মাঝমাঠের ফুটবলাররা আগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। এরই সুযোগে প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত শটে গোল করে এগিয়ে চলো সঙ্ঘকে ১-‌০ তে এগিয়ে দেন মালসোয়াম দুঙ্গা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল বাড়ানোর দিকে নজর দেয় এগিয়ে চলো। অপরদিকে লালবাহাদুরের আক্রমণভাগের ফুটবলার শ্যাম কুমার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান গোল পরিশোধের জন্য। ওই অর্ধে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠে। প্রতি আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের শেষ মিনিটে মালসোয়াম দুঙ্গা নিজের এবং দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ২-‌০। শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট তুলে নেয় কর্ণেন্দু দেববর্মার এগিয়ে চলো সঙ্ঘ। দারুনভাবে রাজীব সাধনের প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলো সঙ্ঘ ভালো ফুটবল খেলে মাঝমাঠ দখলে রাখে। প্রশিক্ষক কর্ণেন্দু দেববর্মা বলেন, “এই জয় খুব জরুরি ছিলো। তবে ২ গোলে জয় পাওয়ায় কিছুটা এগিয়ে থেকেই ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামবো”। অপরদিকে লালবাহাদুর কোচ সুজিত ঘোষ বলেন, “প্রথম দিকে অগোছালো ফুটবল খেলার জন্যই পরাজয়”। ম্যাচটি পরিচালনা করেন রেফারি বিশ্বজিৎ দাস। ‌‌