ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ

আগরতলা, ৫ অক্টোবর : দক্ষিণ ত্রিপুরায় কিছুদিন আগে সরব হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে। তার প্রভাব এখন উত্তর জেলাতেও পড়তে শুরু করেছে। বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ গঙ্গানগর পাঁচ নং ওয়ার্ডের যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রয়েছে তাতে গত সোমবার তালা ঝুলাল জায়গার মালিক গিরিধারী শর্মা। গতকাল বুধবার সমাজ কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে পুলিশ দিয়ে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে গিরিধারী শর্মা জানিয়েছেন, ১২ বছর হয়েছে তিনি এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জায়গা দিয়েছিলেন।তাঁর ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিলেন, এমনকি নিজের জলের উৎস থেকে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জলের সংযোগ দিয়েছিলেন । বিনিময়ে একটাই দাবি ছিল তাঁর ছেলের স্ত্রী মাম্পি শর্মাকে সহায়িকার চাকরি দেওয়া হবে। যখন গিয়েছিলেন তখন বাম আমলে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোন পোস্ট খালি ছিল না, তাই তিনি মেনে নিয়েছিলেন যখন পোস্ট খালি হবে তখন তাঁর ছেলের স্ত্রী মাম্পি শর্মাকে একটি চাকরি দেওয়া হবে।

বাম আমল অতিক্রান্ত হয়ে রাম জামানা এল। এখন পোস্ট খালি রয়েছে কিন্তু তাঁর ছেলের স্ত্রীকে চাকুরী দেওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে এই প্রবীণ নাগরিক জানতে পারেন তাঁর ছেলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর বা তার উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়নি। তা নিয়ে গিরিধারী শর্মা পঞ্চায়েত স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে একের পর এক আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তার ছেলের স্ত্রীর একটা চাকরির জন্য। কিন্তু কোন স্তর থেকে কোন ধরনের সঠিক উত্তর না পাওয়ায় অবশেষে নিরাশ হয়ে গত সোমবার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তারা ঝুলালেন জায়গার মালিক গিরিধারী শর্মা স্বয়ং। সোমবার সকালে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে ঘুরে চলে যায়। মঙ্গলবারও যথারীতি বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।

কিন্তু বুধবার সমাজ কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে পুলিশ দিয়ে তালা খুলে দেওয়া হয়। বলা হয় এখন এই কেন্দ্রটি সরকারি সম্পত্তি তাই যখন তখন জায়গার মালিক ও তালা ঝুলাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় জানিয়ে দেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটে আসলেও শিক্ষাদানের জন্য কোন সরকারি স্টাফ না আসায় নিরাশ হয়ে ছাত্রছাত্রীরা ঘুরে যায় যার বাড়িতে চলে যায়।