ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপড়েন প্রভাব ফেলেছে ঢাকিপাড়াতেও

কলকাতা, ৪ অক্টোবর (হি. স.) : বছরভর ওঁরা বেশিরভাগই ছোটখাট কাজ করেন। কিন্তু পুজোর এই সময়টায় কাঁধে তুলে নেন ঢাক। একদিকে মনের আনন্দ, অন্যদিকে বাড়তি কিছু উপার্জন। কারও কারও বংশপরম্পরায় ধরে চলছে এরকম। পুজোর বরাত পেয়ে কারও যাওয়ার কথা সান ফ্রান্সিসকো, কেউ বা যাবেন সিডনি। আবার কেউ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে পা রাখবেন ভিনরাজ্যে।

বাংলার ঢাকিদের কদর দেশ, বিদেশেও। তবে এবার ভিসা সমস্যার জন্য কানাডায় যেতে পারছেন না অনেকে। ভারত-কানাডার সংঘাতের আবহে ভিসা পরিষেবা বন্ধ। অন্যদিকে, কানাডা থেকেও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালিরা পুজোয় সপরিবারে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। মনখারাপ সকলেরই। করোনা সংকটকালে পরপর দু’বছর ঢাক শিল্পীদের থাবা বসিয়েছে রুজি রোজগারে। এবারে পুজো নিয়ে অন্যরকম উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। তবে কানাডার ভিসা না মেলায় দুর্গাপুজোয় কাজ না পেয়ে হতাশ জেলার ঢাক শিল্পীদের অনেকেই।

গ্রামের একাংশ পরিবার ঢাকের উপরেই নির্ভরশীল। ঢাক শিল্পীর কাছে দুর্গাপুজো মানেই আনন্দের সময়। এই পাঁচদিন ঢাক বাজিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে বছরের বেশিরভাগ সময়ের সংসার খরচ উঠে যেত। দু মাস আগে থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যেত ঢাক বাজাতে যাবেন। পছন্দমত ঢাকিদেরও বেছে নিতেন। আর ঢাকের বলে মাতিয়ে দিতেন বিদেশের পূজা মণ্ডপ। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ, খালিস্তানীদের মদতদান— এ সব ভাড়ি ভাড়ি বিষয় বোঝেন না ঢাকিপাড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু পুজোর দিন যত এগিয়ে আসছে, ঢাকিপাড়ায় আগমনীর বদলে বিষাদের সুর বাজছে।