শিলং, ৩ অক্টোবর (হি.স.) : আজ মঙ্গলবার থেকে মেঘালয়ের উমরোইয়ে শুরু হয়েছে ‘সম্প্ৰীতি একাদশ’ শীর্ষক ভারত-বাংলাদেশের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া। ভারত ও বাংলাদেশ বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়ার এটা একাদশ সংস্করণ।
ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক সূত্র এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, যৌথ সামরিক মহড়া উভয় দেশের উদ্যোগে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বার্তা বহন করে সংগঠিত হচ্ছে। ২০০৯ সালে অসমের যোরহাটে এ ধরনের যৌথ মহড়ার সূচনা হয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত দশটি সফল সংস্করণ সম্পন্ন হয়েছে।
‘সম্প্ৰীতি একাদশ’ শীৰ্ষক যৌথ সামরিক মহড়া ১৪ দিন ব্যাপী চলবে। উভয় দেশের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ৩৫০ জন সেনাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেছেন। মহড়ায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত ড্ৰিল ভাগাভাগি করা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
৫২ নম্বর বাংলাদেশ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে ১৭০ জন জওয়ান এসেছেন মহড়ায়। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ইউনিট হলো ২৭ নম্বর বাংলাদেশ পদাতিক রেজিমেন্ট।
অন্যদিকে, ভারতীয় দলে প্রধানত রাজপুত রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নের সেনা রয়েছেন। মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এসকে আনন্দ ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মহড়ায় বিভিন্ন ইউনিট যেমন আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়াৰ্স এবং উভয় পক্ষের অন্যান্য সহায়ক অস্ত্র ও পরিষেবা বিভাগের কর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। ‘সম্প্ৰীতি একাদশ’ একটি কমান্ড পোস্ট এক্সারসাইজ (সিপিএক্স) এবং একটি ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স), যা ইউএন ম্যান্ডেটের সপ্তদশ অধ্যায় অনুসারে সাব-কনভেনশনাল অপারেশন পরিচালনার ওপর কেন্দ্রীভূত বৈধ মহড়া৷
প্রতিটি কন্টিনজেন্ট থেকে ২০ জন অফিসার সিপিএক্স-এ অংশ নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেন। এছাড়া এফটিএক্স-এর মাধ্যমে তৃণমূল-স্তরের কার্যকলাপ যাচাই করা হবে। পাশাপাশি জিম্মি উদ্ধার (হোস্টেজ রেসকিউ), ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য এফটিএক্স-এর একটি সিরিজ যৌথ কৌশলগত মহড়া ‘সম্প্ৰীতি একাদশ’-এ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সেনা সূত্রটি আরও জানিয়েছে, অসমের দরং ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে আগামী ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর বৈধতা অনুশীলন হবে। অনুশীলন চলাকালীন অংশগ্রহণকারীরা ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর সরঞ্জাম প্রদর্শন করবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। ‘সম্প্ৰীতি একাদশ’ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও বাড়ার পাশাপাশি গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং সাব-কনভেনশনাল অপারেশনে ভাগ করার অভিজ্ঞতা থেকে পারস্পরিক সুবিধা বৃদ্ধি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।