নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাশহর, ২ অক্টোবর : দুই যুবকের দ্বারা আক্রমনের শিকার পুলিশ কর্মীর ছেলে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযুক্তরা এখন পর্যন্ত অধরা বলে খবর। সুবিচারের দাবিতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশ কর্মীর পরিবার।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে হরিপদ চক্রবর্তী, তিনি একজন পুলিশ কর্মী, দীর্ঘদিন কৈলাশহর থানাতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কৈলাশহর পুলিশ রিজার্ভ মন্দিরে পূজা করেন এবং পুলিশ রিজার্ভ কোয়ার্টারে থাকেন উনার পরিবারকে নিয়ে। উনার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। জানা যায় যে গত সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ গনেশ পূজার দশমী ছিল কৈলাশহরে। আর সেই পুজো দেখতে রাত্রিবেলা এসেছিল পুলিশকর্মী হরিপদ চক্রবর্তীর ছেলে প্রলয় চক্রবর্তী(২৪)। অভিযোগ সেদিন রাত্রিবেলা কৈলাসহর আর জিএম হাসপাতালের সামনে দুইজন যুবক মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। যার ফলে গুরুতর আহত হয়েছে সে। তার নাক ও মাথা ফেটে যায়। সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমনকি ওর পকেট থেকে নগদ অর্থসহ একটি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায় ওই দুই যুবক। এমনই অভিযোগ। এমনকি তার মোবাইল ফোনটি ও ভেঙ্গে ফেলে ওই দুই যুবক।এরপর স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কৈলাসহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে রেফার করে। তার মাথায় আঠারোটি সেলাই লাগে এবং ডাক্তার বাবুরা জানায় যে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে তাই তাকে বহি রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু টাকার অভাবে তাকে বহিরাজ্যে বর্তমানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পরিবারের লোকেদের।
এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসের ২৭ তারিখ অভিযুক্তদের নাম ধাম দিয়ে প্রলয় চক্রবর্তীর পরিবারের লোকেরা কৈলাশহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমন কি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয় হরিপদ চক্রবর্তী বলে অভিযোগ। তবে কি কারণে ওই দুই যুবক প্রলয় চক্রবর্তীর উপরে এইভাবে আক্রমণ সংঘটিত করল তা এখনো জানা যায়নি। তাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয় আজ প্রলয় চক্রবর্তীর পরিবার। বর্তমানে প্রলয় চক্রবর্তী বিছানায় শয্যাশায়ী। এখন দেখার বিষয় হল পুলিশ প্রশাসন তদন্তক্রমে কি ভূমিকা গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই।