ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে তারকব্রহ্ম কীর্তনীয়া শিল্পী সমিতির রাজ্যব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর।। ২৫ সেপ্টেম্বর ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে তারকব্রহ্ম কীর্তনীয়া শিল্পী সমিতির রাজ্যব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়, বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, তারকব্রহ্ম কীর্তনীয়া শিল্পী সমিতির রাজ্য সভাপতি নিতাই দে এবং রাজ্য সম্পাদক বিমল নাথ সহ সমগ্র রাজ্য থেকে আশা তারকব্রহ্ম কীর্তনীয়া শিল্পী সমিতির প্রতিনিধিগণ।

 এই সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের কাছে তাদের দুইটি দাবি সনদ সহ একটি প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। এই দাবী সনদে রয়েছে যেসব কীর্তনীয়ার বয়স ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে হয়ে গেছে তাদের পক্ষে এখন আর কীর্তন করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। তাদেরকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে মাসিক ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা এবং সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে দুর্বল কীর্তনীয়াদের বিভিন্ন প্রকার বাদ্যযন্ত্র প্রদান করা। মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন এখনো সমাজে দুর্যোধন, দুঃসাশন, কংশ, জয়সন্ধ্য তারা নাম পাল্টে এখনো আমাদের সমাজে বিচরণ করে চলেছে। প্রতিদিন পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখা যায় তাদের জানোয়ার সুলভ কার্যকলাপ। সামনেই দুর্গাপূজা তাই মাতৃদেবীর আরাধনায় সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিজেদের ঘরে নিজের জন্মদাত্রী মায়ের জন্য এক ফোটা জায়গা নেই। তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেমেয়েরা নকল মায়ের পিছনে ভক্তি প্রণাম আর আনন্দ করতে ব্যস্ত। সরকারকে একটার পর একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলতে হচ্ছে সেইসব অমানবিক মাতৃভক্তদের জন্য। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস বলেন ইন্টারনেট খুললেই দেখা যায় আমেরিকা গ্রেট ব্রিটেন রাশিয়া জার্মান ফ্রান্স চিন। এই দেশগুলিতে হরিনাম ঘটা করে প্রচলিত হচ্ছে। এখন আমাদের দেশের সনাতন ধর্ম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ মানুষ সনাতন ধর্মের মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পাচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *