হাফলং (অসম), ২৫ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : শিশু নির্যাতনের অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন আধাসেনার এক মেজর ও তাঁর স্ত্রী। এক শিশু কন্যাকে নিজের ঘরে পরিচারিকার কাজে নিয়োজিত করে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর অভিযোগে হাফলং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের ধরমশালার বাসিন্দা শৈলেন্দ্র যাদব ও তাঁর স্ত্রী কিমি রালসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাম রাইফেলসের মেজর শৈলেন্দ্র যাবদ হাফলঙে যখন কর্মরত ছিলেন তখন তিনি হাফলঙের পার্শ্ববর্তী সংপিজাং গ্রামের যুবতী কিমি রালসনকে বিয়ে করেন। কিন্তু হাফলং থেকে মেজর শৈলেন্দ্র যাদব বদলি হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁর স্ত্রী কিমি রালসনকে হিমাচলের ধরমশালায় নিয়ে যান। সঙ্গে ঘরের পরিচারিকার কাজের জন্য নিয়ে যান হাফলং সংপিজাংয়ের এক শিশু কন্যাকে। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কিমি রালসন বিভিন্ন অজুহাতে ওই শিশু কন্যার ওপর নির্যাতন ও অকথ্য অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এমন-কি এই শিশু কন্যার ওপর কিমি রালসন গরম জল ঢেলে দেওয়ার মতো অভিযোগও উত্থাপন হয়েছে। অবশেষে ওই শিশু কন্যাকে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালা থেকে হাফলং নিয়ে এসে পরিবারের হাতে সমঝে দেওয়ার পর ওই শিশু কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রদত্ত এজাহারের ভিত্তিতে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছে মেজর শৈলেন্দ্র যাদবের স্ত্রী কিমি রালসনকে এবং পরে হিমাচল থেকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয় শৈলেন্দ্র যাদবকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত দু-তিন দিন আগে হিমাচল থেকে ট্রেনে করে এক ব্যক্তি ওই শিশু কন্যাকে গুয়াহাটি নিয়ে আসেন এবং মেজর শৈলেন্দ্র যাদবের স্ত্রী বিমানে করে গুয়াহাটি এসে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে শিশুকে কন্যাকে নিয়ে হাফলং এসে পরিবারের হাতে সমঝে দেন। তার পর ওই শিশু কন্যা তার পরিবারকে তার ওপর সংগঠিত অকথ্য নির্যাতন ও অত্যাচারের কথা বর্ণনা করে। এর পর ওই শিশু কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে কিমি রালসন ও শৈলেন্দ্র যাদবকে অভিযুক্ত করে এজাহার দাখিল করার পর স্বামী স্ত্রী দুজনকেই গ্রেফতার করে হাফলং পুলিশ।
বর্তমানে আধাসেনা বাহিনীর মেজর শৈলেন্দ্র যাদব ও তার স্ত্রী পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। আজ সোমবার দুজনকেই হাফলং সিজেএম-এর অতিরিক্ত আদালতে তোলা হয়েছে।